ইমন হোসেন: [২.১] যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ সাময়িকীর এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। গবেষকদের মতে, ঢাকায় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়ার মাত্রা বেশি।(বণিক বার্তা ০২-০৭-২০২৪)
[৩.১] গবেষক দলটি ঢাকার ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১ হাজার ৩৬৮ জন শিশুর ওপর ‘সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং’ নামে জরিপটি পরিচালনা করে। এর অংশ হিসেবে শিশু ও তাদের বাড়ির বাসিন্দাদের লালা পরীক্ষা, ধূমপানের ধরন পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু ধূমপায়ীর সঙ্গে বসবাস করে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (এফএনএস ০৬-০৭-২০২৪)
[৪] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, তামাক (বিড়ি, সিগারেট, জর্দ্দা, গুল, সাদাপাতা) ব্যবহারে ২৫টির বেশি প্রাণঘাতী রোগ হয়। এর মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্ট্রোক অন্যতম। তামাকের কারণে দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় এবং কয়েক লাখ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে।
[৫] গবেষক দলের প্রধান যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের অধ্যাপক কামরান সিদ্দিকী বলেন, শিশুদেরকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিংয়’ এর শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে ধূমপানমুক্ত বাড়ি ও গাড়ির পক্ষে কথা বলা জরুরি। (কালের কন্ঠ ২৯-০৬-২০২৪)
[৬] এআরকে ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক রুমানা হক বলেন, এই গবেষণার ফলাফল সত্যি উদ্বেগজনক। যদি আমরা শিশুদের পরোক্ষ ধূমপানের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে তাদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে। পরবর্তী জীবনে তারা শিক্ষাক্ষেত্রে নিম্নমান এবং উচ্চহারে ধূমপানের ঝুঁকিতে পড়বে। (আরটিভি)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :