আনিস তপন: [২] মঙ্গলবার, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির যৌথ উদ্যোগে ওঈঠএউ প্রকল্পের এক লক্ষ উপকারভোগীর মধ্যে উপযুক্ত ৯৬ হাজার ৯২৮ জন নারী উপকারভোগীদের মাঝে মূলধন বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।

[৩] তাদের প্রত্যেককে জিটুপি(গভর্নমেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতিতে আয় বর্ধক কার্যক্রম ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রত্যেককে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে মোট ১৯৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

[৪] এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের জন্য দেশের চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই বিনিয়োগ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে কেবল নারীদের স্বতন্ত্রভাবে সমর্থন করা হচ্ছে না বরং নারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। নারীদের উন্নয়নে এবং দেশের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার এমন সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

[৫] উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নারীর অবদান জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল ২০১৫ এর আওতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘ভালনারেবল  উইমেন বেনিফিট’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। চলমান ওঈঠএউ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪ টি জেলার প্রতিটি জেলা থেকে একটি করে উপজেলা নিয়ে ৬৪ টি উপজেলায় এক লক্ষ নারীকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। 

[৬] উক্ত উপকারভোগীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে নগদ অর্থ অনুদান, প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ, পাঁচটি নির্ধারিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং একটি বিশেষ মডিউলের অধীনে উপকারভোগীর নিজের পছন্দ ও সুবিধাজনক একটি বিষয়ে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ প্রদান ও ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরিতে   প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসবি২