শিরোনাম
◈ ব্রাজিল সহজে জিতলেও অনেক কষ্টে জয় পেলো আর্জেন্টিনা ◈ বাংলাদেশের সৈকত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন ◈ অভ্র’র মেহদীর সাথে যেভাবে আইনি দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন বিজয়ের মোস্তাফা জব্বার ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের: কোচ ফিল সিমন্স  ◈ বিদ্রোহীদের বাদ দিয়ে ৩৬ নারী ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি ◈ গুয়াতেমালায় বাস খাদে পড়ে অন্তত ৫১ যাত্রী নিহত ◈ ১০০ আসনে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা জামায়াতের ◈ সেভ দ্য চিলড্রেন প্রকল্পের সাবেক পরিচালককে গলা কেটে হত্যা ◈ প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপির ৪ পৃষ্ঠার চিঠি, যা লিখল ◈ চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে?

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:৪৮ দুপুর
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাতে বের হতে ভয় পান ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সরকারের কঠোর সমালোচনা (ভিডিও)

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন যতদিন পর্যন্ত শয়তান নির্মূল না হয় ততদিন পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট চলবে. আচ্ছা কে শয়তান আর কে ফেরেশতা? এটা মাপার কি কোনো যন্ত্র আছে?

গত ১৫ বছর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে না হলেও এখন ভুগতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা।গতকাল রবিবার একটি গণমাধ্যমের টকশোতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

অপারেশন ডেভিল হান্টের বিষয়ে বলতে গিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন,‘ খাজনা থেকে বাজনা বেশি এটা বাঙালির মজ্জাগত সমস্যা। আপনি দেখেন পুলিশ, আর্মি, র‌্যব, বিজিবি তাদেরকে আমরা নষ্ট করলাম, মানে সরকারে যারা ছিল তারা নষ্ট করল। কিন্তু এক শুভ সকালে তাদের পোশাক পরিবর্তন করে আইডিয়া করা হলো এবার তারা ঠিকঠাক মতো কাজ করবে।  আমরা যেকোনো একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে সেটাকে শক্ত হাতে বন্ধ করা এবং এই অবরোধের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের দল, মত, রাজনৈতিক মতাদর্শ, অরাজনৈতিক বিশ্বাস সকল কিছুকে একদিকে সরিয়ে রেখে কেবলমাত্র তার অপরাধের বিচারটি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবার কথা।  এটাই একটা সভ্য রাষ্ট্রে হয়ে থাকে।  আমার দেশে এগুলো হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দেশে হয় বড় বড় কথা—লুকিং ফর শত্রুস কিংবা অপারেশন ডেভিল হান্ট।  এসব অদ্ভুত কথা। আমরা আসলে ক্লান্ত, জাতি হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার আসলেই সত্যি খুব ক্লান্ত লাগে।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘গাজীপুরে যে ঘটনাটা ঘটেছে সেই ঘটনা কারা ঘটালো, কারা মদদ দিলো, কারা সেটাকে উসকে দিলো এবং কেন মাঠে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে সেটা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বের করার কথা।  ৩২ নম্বরে দুইদিন ধরে একটি বাড়ি ভাঙা হলো, মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হলো, আগুন দেওয়া হলো এবং খুব উৎসবমুখর পরিবেশে ঘটনাটি ঘটল।  তারপর দেখলাম সরকার নিন্দা জানাচ্ছে।  সরকার যদি শক্ত স্ট্যান্ড নিয়ে বলতো আমরা এটাকে সমর্থন করছি।  কারণ জার্মানিতে নাৎসিতে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা হয়েছে, তাদের কোনো অস্তিত্ব রাখা হয়নি।  একইভাবে আমরা বাংলাদেশেও শেখের কোনো অস্তিত্ব রাখবো না। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা যদি তারা (সরকার) বোলডলি ঘোষণা দিয়ে করতে তাহলেও মানুষ আশ্বস্ত হতো এই ভেবে যে ও আচ্ছা সরকারের অন্তত নিয়ন্ত্রণ আছে। সরকার জানে যে ঘটনাটি ঘটছে এবং সরকার এটি ঘটতে দিচ্ছে।  কারণ সরকার এটিকে সমর্থন করে। কিন্তু আমরা দেখলাম সরকার খুব কড়াভাবে বিবৃতি দিল একদিন পরে। আপনি কি জনগণের সঙ্গে মকারি করেন। আপনি কি রাষ্ট্র পরিচালনাটাকে একপ্রকার ছেলে খেলা মনে করেন। এটা কিন্তু ছেলে খেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষ মতান্তরে ২০ কোটি মানুষ হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। সরকারের এই অযোগ্যতা ও অপদার্থ লোকজনকে পদে বসানোর কারণে। ’   

তিনি বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে এই সরকার ঘটন করা হয়েছিল এবং সেই সময় সকল বড়বড় রাজনৈতিক দলগুলো বলেছিল যে, এই সরকার আমাদের সরকার এই সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আমরাতো দেখছি সরকার ব্যর্থ হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। সরকার যদি জনজীবনে ন্যূনতম স্বস্তিটুকু আনতে পারতো। এখন কি হয়েছে আমরা সন্ধ্যার পরে বহু বহু বছর পর আবারও বের হতে ভয় পাই। আপনিও ভয় পান, স্বীকার করবেন কিনা করবেন না আমি ভয় পাই ভাই। এটা আমি সকল চ্যানেলে বলি রাত হলে আমাকে আমার সঙ্গে আরেকটা লোক দিতে হবে গাড়িতে। এটাতো আমি গত ১৫ বছরে বলি নাই। পরিস্থিতিটাকে আপনারা সেই জায়গায় নিয়ে গেছে। 

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি যখন সাধারণ মানুষ, সেই মানুষগুলো বিশ্বাস করেন কোনো রং, লেবাসের মানুষ না, সেই মানুষগুলো একেবারে আমজনতা। মানুষজনের সঙ্গে যখন আমি কথা বলি তখন তারা আমাকে গলা নিচু করে একটি কথা বলে, ভাই তাড়াতাড়ি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। কোনদিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কোনদিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ এটা কি এই ২২ জন উপদেষ্টার জবাব দেওয়ার কথা না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়