সাদেক আলী : এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় বিক্ষোভ করা যুবকদের কেউ রাজনৈতিক সদস্য ছিলেন না। মরদেহবাহী গাড়ির বহরে থাকায় পিকআপ আটকে দেয়ায় সম্প্রতি কুড়িল এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় ভাঙচুর চালায় স্বজনরা। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
চলাচলকারী গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের সুনির্দিষ্ট বিধান আছে। এক্সপ্রেসওয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ম্যানেজার ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যখন কোনো গাড়ি যায় সেই গাড়ির সেফটি দেখা হয়। পিকআপটিতে ১৫ থেকে ২০ জন স্ট্যান্ডিং প্যাসেঞ্জার ছিল। এক্সপ্রেসওয়েতে এই ধরনের গাড়ি অ্যালাউ করা হয় না।
কারণ হিসেবে হাসিব হাসান খান বলেন, দ্রুত গতিতে চলাচলের রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেলে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। এজন্য এ ধরনের গাড়ি এর আগেও যেতে দেওয়া হতো না। টিকিটের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা, ক্যামেরায় পিকআপটিকে দেখার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এবং গাড়িটিকে যেতে দেয়া হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চায়।এর মধ্যেই অধৈর্য হয়ে পিকআপ থেকে নেমে এসে কয়েকজন জানতে চান, আমরা তো টোল দিবো কেন যেতে দিবেন না?
তার দাবি, এসময় নিরাপত্তার কারণে যেতে দেয়ার সুযোগ নেই জানানো হলে পিকআপ আরোহীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তবে এই ঘটনায় টোলপ্লাজার কর্মীদের কেউ আহত হননি কিংবা কোনো অবকাঠামো বা যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার। তিনি বলেন, তারা জোর করে গেছে, নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, এটা ঠিক হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :