মাজহারুল মিচেল: [২] গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তাগিদ দেয়।
[৩] নির্বাচন কমিশনের অ্যাপটি প্রযুক্তিবান্ধব এবং আগামীতে আরও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে চাওয়ার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে তারা জানান, ইন্টারনেটের দাম ও শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মান, সেই সঙ্গে এন্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারের পরিমাণ ও তাদের ব্যবহারের সক্ষমতা যদি বৃদ্ধি করা না যায় তাহলে স্মার্ট ইলেকশন অ্যাপটি তৈরির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
[৪] নির্বাচন কমিশনের এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের এবং প্রার্থীদের হয়রানি অনেকাংশে লাঘব হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ভোটার এর পরিমাণ ১১ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪০ জন। এর বিপরীতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিবিএস এর পরিসংখ্যান মতে ৩৮.৯ শতাংশ। এই জরিপ পরিচালনা করা হয় ২০২২ সালের ২৯ মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত। গত ২০২২ সালের জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয় দেশে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০.৬৮ শতাংশ। সে হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখ।
[৫] আমাদের বক্তব্য হচ্ছে যদি দেশে গ্রাহকদের হাতে যদি স্মার্ট ফোন বা এন্ড্রয়েড একটি ডিভাইস না থাকে তাহলে এই অ্যাপস ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। এছাড়াও গ্রাহকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এর ঘাটতি আছে তাহলেও কিন্তু এটি কাজে আসবেনা। অন্যদিকে কমিশনকে গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
[৬] নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে উচিত হবে কমিশন অর্থাৎ বিটিআরসি, মোবাইল অপারেটর, আইএসপি এবি, গ্রাহক প্রতিনিধি গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে এই অ্যাপসকে আরো কিভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায় এবং সাধ্য সামর্থের মধ্যে আনা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা অত্যন্ত জরুরি বলা আমরা মনে করি। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আপনার মতামত লিখুন :