স্মার্টফোন আজকাল আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অ্যাপ বা স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন চালু করে গোপনে কথোপকথন শোনার চেষ্টা করে। এই সমস্যা থেকে সুরক্ষিত থাকতে এবং ফোনের গোপন কার্যক্রম বুঝতে সহজ কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নর্ড ভিপিএনের বিশেষজ্ঞরা।
নর্ড ভিপিএনের দেওয়া পরীক্ষাটি সহজ এবং ঘরেই করা সম্ভব। চারটি ধাপে সম্পন্ন করা এই পরীক্ষায় আপনি নিজেই জানতে পারবেন আপনার ফোন গোপনে আপনার কথা শোনে কি না।
পরীক্ষার ধাপগুলো
অনাগ্রহের একটি বিষয় নির্বাচন করুন : প্রথমে এমন একটি বিষয় বাছুন, যেটি নিয়ে আপনি আগে কখনো অনলাইনে সার্চ করেননি বা ফোনের সামনে আলোচনা করেননি।
নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলুন : ফোনের কাছাকাছি থেকে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করুন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ‘ইথিওপিয়া’ নির্বাচন করেন, তবে আলোচনা করুন ‘ইথিওপিয়াভ্রমণ’, ‘ইথিওপিয়ায় হোটেল’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে।
স্বাভাবিক ফোন ব্যবহার করুন : কথোপকথনের সময় শুধু বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন, কিন্তু এ নিয়ে কোনো সার্চ করবেন না।
বিজ্ঞাপন লক্ষ করুন : কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে দেখুন, অনলাইন বিজ্ঞাপনে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি না। বিশেষত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলো লক্ষ্য করুন।
যদি আপনি আলোচনার বিষয় সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেখতে পান, তবে বুঝবেন ফোনটি গোপনে আপনার কথা শুনছে।
নর্ড ভিপিএনের প্রযুক্তি প্রধান মারিজাস ব্রেইডিস জানিয়েছেন, ফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহারে অযথা অনুমতি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা আমাদের তথ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
করণীয় : স্মার্টফোনে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ইন্সটল না করা, অ্যাপের অনুমতিগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করা এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের নিজেদের হাতেই।
তাই সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন। সূত্র : ডেইলি মেইল
আপনার মতামত লিখুন :