শিরোনাম
◈ ‘মেগা বাঁধ’ ঘিরে চীন-দিল্লি উত্তেজনা ◈ রাজধানীতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সেনাবাহিনীর অভিযান (ভিডিও) ◈ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স থেকে মাশরাফিকে বাদ দিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ আবুধাবি টি-টেন ক্রিকেটে বাংলা টাইগার্সে সাকিবের পর তাওহীদ হৃদয় সুযোগ পেলেন ◈ দুই কুশলের ব্যাটিং তা-বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা ◈ অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ◈ পাকিস্তানে ভারত খেলতে না গেলে জয় শাহকে বিকল্প খোঁজার আহ্বান ইসিবির ◈ চাপাতি নিয়ে দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের লোমহর্ষক বর্ণনা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩ (ভিডিও) ◈ সংস্কারের ধীর গতি ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, যা বলছেন উপদেষ্টারা ◈ সিনওয়ারের শেষ মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৩০ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক চলে যেতে পারে গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও

ডেস্ক রিপোর্ট : খাবার রাখার ব্যাগ, কন্টেইনার থেকে পানির বোতল, সবকিছুতেই আছে প্লাস্টিক। খাবার গরম করার পাত্র থেকে বাচ্চার খেলনা, সবখানেই প্লাস্টিকের ব্যবহার। কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে খাবারেও প্লাস্টিকের অস্তিত্ব। সায়েন্স অফ দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত হেলথ স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিক সহজে নষ্ট হয় না। ফলে মাইক্রো এবং ন্যানো-প্লাস্টিক পার্টিকেলস নিঃশ্বাসের সঙ্গে খুব সহজে মানবশরীরে ঢোকে। এমনকি প্লাস্টিক প্যাকেট-বন্দি খাবার থেকেও মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে ঢুকতে পারে। আর সেই সব প্লাস্টিকের কণা প্লাসেন্টার প্রাচীর ভেদ করে গর্ভস্থ ভ্রূণের কোষের মধ্যে ঢুকে যায়। বিষয়টি  জানতে ইঁদুরের উপরে গবেষণা করেছিল আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়।

পরীক্ষামূলকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে সন্তানসম্ভবা ইঁদুর মায়েদের শরীরে পলিঅ্যামাইড-১২ প্রবেশ করানো হয়েছিল। সন্তান জন্মের পরে তাদের শরীর পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে বিষয়টি। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট, মানুষের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রূণেও প্রবেশ করতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিক। ইঁদুরের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শাবক জন্মের দীর্ঘসময় পর পর্যন্ত তাদের কোষের মধ্যে সেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি থাকে। মানবসন্তানের ক্ষেত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের স্থায়িত্বের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। 

তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গর্ভস্থ মানবশিশুও আর নিরাপদ নয়। সদ্যোজাতকের মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ডর মতো অর্গানে যদি এমন ক্ষতিকারক প্লাস্টিক জড়ো হয়, তাহলে কিন্তু শরীর রোগের ডিপো হতে পারে। ভবিষ্যতে বাসা বাঁধতে পারে মারণ রোগও। ছ’টি গর্ভবতী ইঁদুরকে ১০ দিন অ্যারোসোলাইজড ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক পাউডারের ধারে-কাছে রাখা হয়েছিল। তার পরই তাদের উপর করা হয় পরীক্ষা। তবে একটা জিনিস তখনও ভাবাচ্ছিল বিজ্ঞানীদের, সন্তান জন্ম হয়ে যাওয়ার বহু পরেও কি এই প্লাস্টিকের কণাগুলো এভাবেই বহাল তবিয়তে থেকে যায় শরীরে? তবে দীর্ঘদিন ধরে তারা নজর রেখে দেখেছেন, অন্তত ইঁদুরের ক্ষেত্রে তো এসব ক্ষতিকর জিনিস পাকাপাকি ভাবে শরীরেই থেকে যায়। জন্মের দুই সপ্তাহ পর, দুটি নবজাতক ইঁদুরের শরীরে মাইক্রো এবং ন্যানোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল।

সূত্র : সায়েন্স এলার্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়