ইমন হোসেন: [২.১] অপরাধ কর্মকাণ্ডে বেড়েছে ওয়াকিটকির ব্যবহার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া পরিচয়ে ছিনতাই, ডাকাতি বা অপহরণের কাজে ওয়াকিটকি ব্যবহার হচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে।
[২.২] ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে অবৈধ ওয়াকিটকির ব্যবহার সর্বাধিক। মূলত ওয়াকিটকি ব্যবহার করে প্রতারণার নতুন নতুন ফাঁদ পাতা হয়। (যমুনা টিভি)
[৩] বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, কোনো ব্যক্তিকে ওয়াকিটকি ব্যবহারের লাইসেন্স দেয়া হয় না। প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। সরকারি সংস্থার বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয়া হয়। আর কালো রঙের ওয়াকিটকি কেবলমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবহার করতে পারে। পণ্যটির অপব্যবহার বন্ধের দায়িত্বপুলিশের। (আরটিভি)
[৪] অবৈধ ওয়াকিটকি বিক্রিয়কারীদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮টি অভিযান চালিয়েছে বিটিআরসি। এসব অভিযানে ৯৭টি সেট জব্দ হয় এবং ৮ জনকে গ্রেপ্তার ও ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। (বাংলা ট্রিবিউন ২৭-০৭-২০২৪)
[৫] অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রিকোয়েন্সি জানা থাকলে ও ডিজিটালি এনক্রিপটেড না হলে বাইরের কোনো অবৈধ বেতার যন্ত্র ওয়াকিটকিতে হওয়া কথোপকথন শুনতে পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সংস্থার কথোপকথন কারো অবৈধ ওয়াকিটকির মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।(যুগান্তর ২৯-০৭-২০২৪)
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ওয়াকিটকির মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসের প্রতি সাধারণ মানুষের ভয় এবং সতর্কতা দুটিই রয়েছে। এ কারণে অনেকে নিজেকে ক্ষমতাবান হিসেবে জাহির ও প্রভাব বিস্তার করতে অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকেন।(দৈনিক বাংলা ১৯-০৭-২০২৪)
[৭] বিটিআরসি কমিশনার ( স্পেকট্রাম) প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, অনুমোদনহীন ওয়াকিটকির ব্যবহার রাষ্ট্রীয় অপরাধ। যে ধরনেরই হোক না কেনো, ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। শুধু ওয়াকিটকি নয়, যে কোনো বেতার যন্ত্রের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। (কালবেলা ২৭-০৭-২০২৪) সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :