আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্চালন লাইন ঠিক করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং মোবাইলে ফোরজি সেবা চালু করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানান তিনি। সূত্র : সময় টিভি
শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নাশকতাকারীদের দেয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মেইল প্রসেসিং সেন্টার পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত ইন্টারন্টে সেবা চালুর বিষয়ে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে আগুনের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রডব্যান্ড সঞ্চালন লাইন। এরপর থেকেই বন্ধ ওয়াইফাই সেবা।
সেই রেশ না কাটতেই শুক্রবার (১৯ জুলাই) নতুন করে উত্তরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সঞ্চালন লাইন কেটে ফেলে নাশকতাকারীরা। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ওভারহেড ও আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল সংযোগের পয়েন্ট। এর আগে বুধবার (১৭ জুলাই) সাময়িক বন্ধ করা হয় ফোর-জি কাভারেজ।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি বলছে, সাবমেরিন ক্যাবল, আইটিসি থেকে আইআইজি হয়ে আইএসপিদের সরবরাহ করা দৈনিক ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের পুরোটাই বন্ধ আছে।
আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক সময় সংবাদকে বলেন, সারা ঢাকা শহরেই আমাদের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্র্যান্ডইউথ পাওয়ার পরও পুরোপুরি রিস্টোর করতে সময় লেগে যাবে।
ইন্টারনেট না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে আউটসোসিংয়ের কাজ। অ্যাপের মাধ্যমে বন্ধ আছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও। বেসিস বলছে, চলমান পরিস্থিতিতে সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনিক ক্ষতি ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা।
বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘বড় আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, আমরা যাদের সঙ্গে কাজটা করি, তারা মুখ ফিরিয়ে নেবে।’
সার্বিকভাবে আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করে সবাইকে ধৈর্য ধরতে বললেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সবাইকে কিছুটা ধৈর্যর সঙ্গে অপেক্ষা করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব, মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করার চেষ্টা চলছে।
এ সময় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে সারা দেশে ডাক বিভাগের ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
আপনার মতামত লিখুন :