মনজুর এ আজিজ: [২.১] ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: এন্ডলেস পসিবিলিটিজ’ থিম নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আগামী ২৭ থেকে ২৮ জুলাই ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টালে এশিয়ার সম্ভাবনাময় বাজারগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যুগান্তকারী ইভেন্ট হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৪’।
[২.২] রোববার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
[৩] সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে দুই দিনের এ ইভেন্টে অংশ নেবেন দেশি-বিদেশি স্টার্টআপ, এন্টারপ্রাইজ, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, এঞ্জেল ইনভেস্টর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, থিংক ট্যাংক এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
[৪] প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫০০ এর অধিক সফল স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিলিয়ন ডলার ভ্যালুয়েশন হয়েছে এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রায় ১৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।
[৫] পলক বলেন, ইনটেল থেকে শুরু করে ওপেন এআই পর্যন্ত সিলিকন ভ্যালি বা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশে স্টার্টআপে বিনিয়োগ হয় ইন্টেল্যাকচুয়াল ভ্যালুয়েশনের ওপর। কিন্তু আমাদের দেশে বিনিয়োগের এ সংস্কৃতিটা ছিল না। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সুযোগ করে দিতে আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে দেন। যা বিশ্বে একটা ইউনিক মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে আমাদের বিমান, সড়ক, নৌ, রেল ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিসহ যে লজিস্টিকস রেডিনেস তৈরি হয়েছে, সেখানেও আমরা কয়েক হাজার স্টার্টআপ তৈরি করতে পারি। আমাদের স্বাস্থ্য, কৃষি, বিনোদন ও শিক্ষাখাতসহ এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার ইউনিকর্ন তৈরি হতে পারে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমএএ/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :