ইমন হোসেন: [২] সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে নানা ধরনের ভুল তথ্য দিয়ে মুনাফা করছে ইউটিউবাররা। ভিডিওর থাম্বনেইল বা প্রচ্ছদ শিরোনামের সঙ্গে ভেতরের বিষয়বস্তুর মিল নেই। ভুলে ভরা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এসব ভুল তথ্যের মধ্যে রাজনীতিবিষয়ক তথ্য সবচেয়ে বেশি। (নিউজ ২৪ অনলাইন)
[৩] সাতটি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধের মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর শিরোনাম নিয়ে ইউটিউবে অনুসন্ধান চালায় তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ডিসমিসল্যাব’। গবেষকরা ভুল তথ্যসংবলিত ৭০০টি ভিডিও পান। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫ শতাংশ রাজনীতি ও প্রায় ১৫ শতাংশ ধর্মসংক্রান্ত। এরপর আছে খেলাধুলা ও দুর্যোগ সম্পর্কিত বিষয়। (প্রথম আলো ১০-০৭-২০২৪)
[৪] ভুল তথ্যের ভিডিওর প্রায় ৩০ শতাংশে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে। যার কয়েকটিতে দেখানো হয় একাধিক বিজ্ঞাপন। ভিডিওগুলোর প্রতিটিতে গড় ভিউ ২ লাখের বেশি। এতে ৮৩টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন রয়েছে। এগুলোর এক তৃতীয়াংশ বিদেশি কোম্পানির। তারা বাংলাদেশি দর্শকদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। (বিবিসি বাংলা ০৭-০৭-২০২৪)
[৫] শিশুদের জন্য তথাকথিত নানা শিক্ষামূলক ভিডিও বানাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলগুলো। ইউটিউবার ও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রশিক্ষক কাইল হিলের অসংখ্য তরুণ অনুসারী আছে। তারা জানায়, এই কনটেন্টগুলো বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও আসলে ভুল তথ্যে ভরা। একই বিষয়ে করা কোনো মূল ভিডিওর অংশ চুরি করে এবং সেখানকার তথ্যের খানিক পরিবর্তন করে নিজেদের সাইটে তুলে দিচ্ছে অনেক চ্যানেল। (চ্যানেল২৪ টিভি)
[৬] ডিজিটালি রাইটের প্রতিষ্ঠাতা মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞাপন সুরক্ষানীতির বিষয়ে আরো আলোচনা হওয়া উচিত। প্ল্যাটফর্মগুলোতে যারা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তাদেরও সতর্ক হতে হবে যে বিজ্ঞাপনগুলো কোথায় যাচ্ছে। এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। (বাংলা ট্রিবিউন ০৯-০৭-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :