মুসবা তিন্নি: [২] ১১১ বছর আগে টাইটানিক ডুবে যাওয়ার পর এর ইতিহাসের কারণে এটি মানুষের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি বিষয় এর প্রতিটি জিনিসে মানুষের আগ্রহ বহুগুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইটানিক থেকে যারা বেঁচে গেছিলো তাদের কাছে থাকা অনেক কিছুই এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, এগুলি একত্রিত করে কোনও সংগ্রহশালায় থাকা উচিত। কিছু জিনিস টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ থেকেও পাওয়া গেছিলো। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান, আনন্দবাজার
[৩] এবার বহুমূল্যে নিলামে উঠেছে কালের নিয়মে সাদা থেকে লালচে রুপ নেয়া টাইটানিকের খাদ্যতালিকা বা মেনুকার্ড। তবে খাবারের নামগুলি এখনো পাঠযোগ্যই আছে। কার্ডের ডান দিকে লেখা, এপ্রিল ১১, ১৯১২! আর উপরে একটি লাল পতাকা, তার মাঝে সাদা তারা। এটি টাইটানিকের পতাকা। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল উত্তর আটলান্তিক মহাসাগরে একটি বিশাল বরফখন্ডের ধাক্কায় ফাটল ধরে ১৫০০ যাত্রীসহ ডুবে যায় টাইটানিকের। যারা লাইফবোটে জায়গা করতে পেরেছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো বেঁচে গেছিলেন তখন। এমনই কোনও যাত্রী টাইটানিক ছাড়ার আগে হয়তো একটি মেনু কার্ড স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন। ১১১ বছর পরে আজ এটা রহস্য। জাহাজডুবির তিন দিন আগের সেই মেনু কার্ড এ বার লন্ডনে নিলামে উঠেছে। দাম উঠেছে ৮৩ হাজার পাউন্ড।
[৪] সেই মেন্যুকার্ডে থাকা ‘ভিক্টোরিয়া পুডিং’-এ এবার আগ্রহ জন্মেছে অনেকের। রাতের খাবার শেষে রাজকীয় মিষ্টিমুখের রেসিপিটিও জানা গেছে, ময়দা, ডিম, জ্যাম, ব্র্যান্ডি, আপেল, চেরি, চিনি ও বাহারি মশলা দিয়ে তৈরি হতো ওই পুডিং। এ ছাড়াও জাহাজ ডুবির রাতে নৈশভোজের শেষ খাদ্য তালিকা ছিল ফরাসি আইসক্রিম ও অ্যাপ্রিকট। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এমটি/আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :