নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামে মাকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী।
শনিবার (৪ জুন) সকাল থেকেই এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে গত ২৩ মে এই তরুণী ওই যুবকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবিতে ১২ ঘণ্টা অনশন করেন।
অভিযুক্ত প্রেমিক তাজনু মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা তাজনুরের বাড়িতে ভিড় করছেন। ভুক্তভোগী তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়ির উঠানে চেয়ারে বসে আছেন।
এদিকে ছেলের পরিবার তরুণী বাড়িতে আসার পরই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল। পরে ছেলের প্রতিবেশীদের পরামর্শে সেসময় নিজের অভিভাবককে সঙ্গে আনতে বাড়ি চলে যান তরুণী। পরে শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা থেকে আসা মাকে সঙ্গে করে আবারও যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করতে থাকেন ওই তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ছেলে রাজি আছে বিয়ে করতে। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু তার বাবা -মা কেউ রাজি না। তারা আমাকে পছন্দ করে না। না করুক, আমার দরকার ছেলেকে। তারা বিয়ে দিলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়। বিয়ে না দিলে এবার আমার মাও এখান থেকে যাবে না।
এ বিষয়ে তরুণীর মা বলেন, আমি ঢাকায় গার্মেন্টসে সামান্য একটা কাজ করি। এই মেয়ের বাবার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় অনেক আগে। তার বাবা অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। তারপর থেকে আমিই ওর বাবা ও মা। এখন এই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়েছে বলে আমি জানি। ছেলে আমার মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছে। এখন আমার মেয়ে তাকে বিয়ে করতে বলেছে। কিন্তু ছেলে রাজি থাকলেও তার পরিবার রাজি না।
তিনি আরও বলেন, এর আগে আমার মেয়ে একা এসেছিল বিয়ের দাবিতে। এখন আমি এসেছি। তারা তখন কথা দিয়েছিল অভিভাবক আনলে তারা কথা বলবে। আমি তাই ছুটি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে এখানে এসেছি। এই বারান্দায় বসে আছি কেউ কথা বলছে না। মেয়ের বিয়ে না দিয়ে আমিও এখান থেকে যাব না।
মঘী ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোরাব আলী বলেন, ঘটনাটি আমার এলাকায় ঘটেছে। একটা মেয়ে নাকি বিয়ের দাবিতে এলাকায় তার মাসহ এসেছে। আমাকে যদি ডাকে তাহলে আমি সেখানে যাব।
এ বিষয়ে কথা বলতে ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :