রাশিদুল ইসলাম : ব্রিটিশ রাজপরিবারের সবচেয়ে সিনিয়রদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য চিত্তাকর্ষক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে এ ব্যবস্থা রয়েছে। রাজপরিবারের বেশিরভাগ সিনিয়রদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এজন্যে মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করা হয়েছে। গ্লোবাল সিটিজেনের মতে, কেনসিংটন প্যালেসের ক্যামব্রিজের রাজকীয় অ্যাপার্টমেন্টে ডিউক এবং ডাচেসের জন্যে গোপন সুরক্ষিত ‘প্যানিক’ রুমটি নিরাপদ করা হয়েছে একটি বায়ু প্রবাহ ব্যবস্থা, জৈবিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুরক্ষা এবং একটি পালানোর সুরঙ্গ তাতে যুক্ত রয়েছে। স্বয়ং ব্রিটিশ রানি বহু বছর ধরে নিজেকে এভাবে রক্ষা করেছেন। এক দশকেরও বেশি আগে উইন্ডসর ক্যাসল এবং বাকিংহাম প্যালেসে রানির বুলেট প্রুফ ও অগ্নি-প্রতিরোধক এমন প্যানিক রুম ছিল।
এছাড়া প্রিন্স চার্লসের হাইগ্রোভ হাউস এস্টেটে একইভাবে ভবিষ্যতের রাজাকে রক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে চিকিৎসা সরবরাহ, রেডিও ট্রান্সমিটার, এয়ার পিউরিফায়ার এবং দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য ও পানীয় নিশ্চিত রাখা হয় যাতে প্রয়োজনে সেখানে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকা যায়। রাজকীয় জীবনীকার ব্রায়ান হোয়ের মতে তার বই ‘নট ইন ফ্রন্ট অফ দ্য কর্গিসে’ উল্লেখ করেছেন সন্ত্রাসী হামলা থেকে ব্রিটিশ রাজ উত্তরাধিকার ও সিংহাসনকে নিরাপদ রাখার জন্য রুমটি ব্যবহার করা হয়। এমনকি রাজপ্রাসাদ ধ্বংস হয়ে যায়, তারপরও প্যানিক রুমটি অক্ষত থেকে যাবে। চার্লস ও ক্যামিলার রক্তের গ্রুপ, দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য ও পানীয়, একটি অস্ত্রাগার, রেডিও ট্রান্সমিটার সহ ইস্পাতের দেওয়াল, বায়ু পরিশোধক এবং রাসায়নিক ল্যাভেটরির মধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :