রাশিদুল ইসলাম: আগে কখনো এমন হয়নি। ভেনিসের খালের পানি কমে গিয়েছিল খরা ও বৃষ্টির অভাবে। কিন্তু এখন ভেনিসের গ্র্যান্ড ক্যানালের পানি সবুজ হয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডেইলি মেইল
বিশে^র পর্যটকদের কাছে ভেনিসের খাল এক ঈর্ষণীয় গন্তব্য। দুনিয়া জোড়া খ্যাতি ভেনিসের খালের এমন অবস্থা দেখে হাহাকার করছেন গন্ডোলা ব্যবসায়ীরা। মনখারাপ পর্যটকদেরও। ভেনিসে গন্ডোলা চড়ার সবচেয়ে নামী জায়গার নাম ‘সেন্ট মার্কস স্কোয়ার’। সেখানেও পানির রঙ সবুজ।
স্থানীয়রাই প্রথম ব্যাপারটা খেয়াল করার পর ভেনেটো অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট লুকা জাইয়া বলছেন, পানিতে কিছু মিশেষে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পানির নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চলছে। অনেকের ধারণা কোনও রাসায়নিক নয়, বরং পরিবেশবিদরাই জলের রঙ বদলে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে চাইছেন। এর আগে ১৯৬৮ সালেও গ্র্যান্ড ক্যানালের পানির রঙ বদলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এক চিত্রশিল্পী নিকোলাস গার্সিয়া। তিনি খালের পানিতে সবুজ রঙ মিশিয়ে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিয়েছিলেন।
জলবায়ু বদলের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ছে বিশ্বজুড়েই। কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও খড়ার টানে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে পড়ছে। নদীনালায় পানি প্রবাহ কমছে। পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে আর সেই সঙ্গেই প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে অদ্ভুতভাবে। এর আগে খরার কারণে ভেনিসের খালে পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে হ্রাস পায়। সেই সময় খালের ধারে কাদায় সার বেঁধে গন্ডোলাগুলিকে আটকে থাকতে দেখা গিয়েছিল। পানি কমে যাওয়ায় সেখানকার স্থানীয়রা বিপদে পড়েছিলেন। কারণ ভেনিসের যাতায়াত খালের ওপর নির্ভরশীল। সেইসময়ও পরিবেশবিদরা ভেনিসের খাল বাঁচানোর বার্তা দিয়েছিলেন। এই ঘটনাও তাদেরই কোনও প্রয়াস কিনা তা খতিয়ে দেখছে ভেনিসের পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :