অনলাইন ডেস্ক: ঘটনা-এক।।
ফ্রান্সের বিখ্যাত সাহিত্যিক, উপন্যাসিক, নাট্যকার জ্যঁ পল সার্ত্রে এমন একজন অনন্য ব্যক্তি। যখন তিনি জানেন যে, তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তখনই তিনি এক বিবৃতির মাধ্যমে এ পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকার করার কথা ঘোষণা করেন। তার যুক্তি অতি সহজ, তিনি সারা জীবন কোনো সরকারি পুরস্কার গ্রহণ করেন নি। তা হলো তার নীতি।
⤵ঘটনা-দুই।।
আমরা সবাই জানি, বিজ্ঞানীরা অনেক ব্যস্ত থাকেন। তবে এমন একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আছেন, তিনি এত ব্যস্ত যে, নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সময়ও তার নেই।
১৯০১ সালে 'এক্স-রে'র উদ্ভাবনকারী জার্মান বিজ্ঞানী ইউলহেল্ম রোতজেন একটি চিঠি পান, চিঠিতে তাকে সুইডেনের স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। আপনারা জানেন, প্রফেসর রোতজেন কি করেছেন? তিনি তার লেখা চিঠিতে লিখেছেন, স্টকহোম অনেক দূর, পুরস্কার গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানের কাছে ছুটি নিতে হয়। খুব ঝামেলা হয় আমার কাছে। প্লিজ আমাকে পুরস্কার ও পদক চিঠির মাধ্যমে পাঠাবেন।
তারপর সুইডেনের জবাব হলো, পদক পাঠানো সম্ভব নয়, প্লিজ একবার আসুন। বাধ্য হয়ে রোতজেন স্টকহোমে আসেন। পুরস্কার ও পদক পাওয়ার পর পরই তিনি আবার জার্মানিতে ফিরে যান। পুরস্কারের পর নিয়মিত আলোচনা সভায় তিনিও অংশ নেন নি।
⤵ঘটনা-তিন।।
বর্তমানে সমাজে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। খাবারের টেবিলে, বাসে, বাথরুমে, ঘুমানোর সময় এমনকি সবসময় মোবাইল ফোন আমাদের সাথেই থাকে। আপনি কি মোবাইল ফোন ছাড়া বর্তমান জীবন কল্পনা করতে পারেন?
তবে আমাদের বিশ্বে সত্যি এমন লোক আছেন, তার যথেষ্ট টাকা আছে, তবুও তিনি মোবাইল ফোন কোনোভাবেই ব্যবহার করেন না। ২০১৩ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর পিটার হিগ্স এমন একজন মানুষ। তিনি এখন পর্যন্ত মোবাইলফোন ব্যবহার করেন না। এর ফলে পুরস্কার কমিটি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পারেন না। আপনারা কি জানেন, অবশেষ তিনি প্রতিবেশীর অভিনন্দন থেকে জানতে পান যে, তিনি সে বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
খালিদ খলিলের ফেসবুক থেকে নেওয়া
আপনার মতামত লিখুন :