শিরোনাম
◈ উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা করার দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের ◈ দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই যা করবেন ট্রাম্প  ◈ প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টা ◈ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সরকারের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নাকি অন্যকিছু ? ◈ ভাইরাল সুপারিশপত্রের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ ‘অহরহ কল আসছে, আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চায়’ (ভিডিও) ◈ আগামী ২৪ ঘণ্টায় যেসব বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ◈ ‘আ. লীগ-বিএনপির কোনো পার্থক্য নেই, ওরা ক্ষমতার পাগল : ফয়জুল করীম (ভিডিও) ◈ বিশ্বে মশার কামড়ে ঘায়েল ৪ বিলিয়ন মানুষ

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২২, ১২:৩৯ দুপুর
আপডেট : ০২ আগস্ট, ২০২২, ০৭:৩১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পিঁপড়ার ডিম বিক্রি করে সংসার চলে টিটুল মুন্সির 

পিঁপড়ার ডিম- টিটুল মুন্সি

সনতচক্রবর্ত্তী: বর্ষা মৌসুম এলে চাহিদা বাড়ে পিঁপড়ার ডিমের। আর  পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহের পর বিক্রি করে সংসার চালান টিটুল মুন্সি নামে এক যুবক।এই ডিম ব্যবহার করে অনেক মৎস্য শিকারী মাছ সংগ্রহ করে থাকে। ইতোমধ্যে অনেকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য নানা মানুষ নানা ধরনের কাজকে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়ে থাকে। তেমনি একজন মধুখালির  টুটুল মুন্সি। তিনি নালশে বা লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা ময়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দেখা হয় টুটুল মুন্সির সঙ্গে। তিনি একটা লম্বা বাঁশের মাথায় ছাতা ও থলে হাতে গাছে গাছে তন্ন তন্ন করে পিঁপড়া বাসা খুঁজছেন। তবে যেমন তেমন বাসা হলে চলবে না, চাই লাল পিঁপড়ার বাসা, যেখানে মিলবে প্রচুর পরিমাণ সাদা রঙের ডিম। এই পিঁপড়ার ডিমই যে তার জীবিকা নির্বাহের হাতিয়ার।

টুটুল মুন্সির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত মেহগনি, আম, লিচুসহ দেশীয় গাছগুলোতেই লাল পিঁপড়ার বাসা পাওয়া যায়। লালা ব্যবহার করে গাছের ডালের আগার দিকের চার-পাঁচটা পাতা জোড়া দিয়ে শক্ত বাসা তৈরি করে পিঁপড়ার দল। পরে সেখানে তারা ডিম পারে। বড় বাসা থেকে একশ থেকে দেড়শ গ্রাম ডিম পাওয়া যায়। আশ্বিন-কার্তিক মাসে দিকে এই ডিমের চাহিদা থাকে বেশি। তবে সব থেকে বেশি ডিম পাওয়া যায় শীতের শেষে দিকে ফাল্গুন মাসে। কিন্তু সেই সময় ডিমের চাহিদা তেমন একটা থাকে না।

এই ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজটি খুব সতর্কতার সাথে করতে হয়। কারণ ডিম আস্ত না রাখলে মাছ তা খায় না। লালশো বা লাল পিঁপড়ার ডিম প্রতি কেজি ৭শ টাকা থেকে শুরু করে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। সাধারণত সৌখিন মাছ শিকারীরা তার কাছ থেকে এই ডিম ক্রয় করে থাকেন। এই ডিম মাছের খুব প্রিয় খাবার।

বড়শিতে আটা-ময়দা-পাউরুটি, একানির মতো আধারের সঙ্গে লালশো বা লাল পিঁপড়ার ডিম দেয়া হলে বড় মাছেরা সহজে টোপ গেলে। এজন্য সৌখিন মাছ শিকারিরা বা যারা মাছ শিকার করেন যারা, তাদের কাছে জনপ্রিয় টোপ পিঁপড়ার ডিম। পানির নির্দিষ্ট স্থানে খাবার ফেলে মাছ ডেকে আনার জন্য এই ডিমের চাহিদা রয়েছে জেলেদের কাছেও। এজন্য অনেক সময় জেলেরা তাদের কাছ থেকে ডিম কিনে থাকেন।

টুটুল মুন্সি আরো জানান, যখন কাজ থাকে না তখন পিপড়ার ডিম সংগ্রহ করে কেজি দরে বিক্রি করে ৫ সদস্যের সংসার চলে। এতে প্রতি দিন ১০০০-১৫০০ টাকা আয় হয়। এতে তেমন কোন পুঁজি লাগে না। এজন্য তিনি এটাকে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন। সারাদিনে তিনি এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করতে পারেন। আর তাতেই চলে তার সংসার। সম্পাদনা: হ্যাপী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়