মাজহারুল ইসলাম : এন সাই প্রিয়া ও তার স্বামী শ্রীনিবাস রাও অন্ধপ্রেদেশের বিশাখাপত্তনমের সঞ্জীভানগর কলোনির বাসিন্দা। গত সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে প্রিয়া স্বামীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালনের জন্য স্থানীয় এক মন্দিরে পুজা দিতে যান। এরপর তারা যান বিশাখাপত্তনমের রামকৃষ্ণ বিচে। ওই সময় একটি ফোনকল আসে শ্রীনিবাসের। কিছুক্ষণের জন্য স্ত্রীকে একা রেখে উঠে যেতে হয় শ্রীনিবাসকে। ফোনে কথা বলা শেষে ফিরে শ্রীনিবাস দেখেন তার স্ত্রী আর সেখানে নেই।
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। সমুদ্র সৈকতে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান শ্রীনিবাস। মনে জাগে নানা ভাবনা। তবে কি সমুদ্রের ঢেউয়ে প্রিয় স্ত্রী ভেসে গেল! পুলিশের কাছে ছুটে যান শ্রীনিবাস। এ ভাবেই গেলো দিনটি।
পরদিন সকালে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। কোস্টগার্ডদের নিয়ে শুরু হয় সার্চ অপারেশন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শ্রীনিবাসের স্ত্রী সাই প্রিয়ার সন্ধান পাওয়া গেল না। এরপর খোঁজ করতে লাগানো হয় নেভি হেলিকপ্টার। খরচ হয় প্রায় এক কোটি টাকা। কিন্তু রামকৃষ্ণ বিচ অঞ্চলের কোথাও এন সাই প্রিয়া’র খোঁজ পাওয়া যায়নি। উপায়ন্তর না দেখে খবর পাঠানো হয় স্থানীয় থানাগুলোতে।
ঘটনার দুইদিন পর বুধবার নেল্লোর জেলার এক জায়গায় খোঁজ মেলে প্রিয়ার। সেখানে তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে বহাল তবিয়তেই আছেন। নিজেই ফোন করে সেকথা তার বাড়িতে জানান প্রিয়া। অর্থাৎ তার কিছুই হয়নি, নিজে থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন। এরপর জানা যায়, রবি নামের সেই যুবকের সঙ্গে তার প্রণয় দীর্ঘদিন ধরে। সংবাদ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :