মাকসুদ রহমান: অ্যাঙ্গোলায় উদ্ধার হওয়া ৩৪ গ্রাম ওজনের গোলাপী হীরার টুকরাটাকে মনে করা হচ্ছে গত ৩০০ বছরের ইতিহাসে পাওয়া যাওয়া সর্ববৃহৎ গোলাপী হীরক খন্ড। বিবিসি
অ্যাঙ্গোলার খনি থেকে উদ্ধার হওয়ার পরই ১৭০ ক্যারেটের এই হিরাটার নাম দেওয়া হয় লুলো রোজ।
এর আগে সবচেয়ে বড় গোলাপী হীরার টুকারাটি পাওয়া গিয়েছিল ইরানে। ১৮৫ ক্যারেটের সেই হিরক খন্ডটির নাম ছিল দারিয়া-ই-নুর। মনে করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বড় আকৃতির গোলাপী পাথরের টুকরার মাঝে দারিয়া-ই-নুর এর পরেই অবস্থান করছে লুলো রোজ। তবে সেটা উদ্ধার করা হয়েছিল একটি বড় পাথর কেটে। বর্তমানে সেটাকে ইরানের মুটুর রত্নগুলোর মাঝে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। লুলু রোজ একটি টুএ প্রকৃতির পাথর যার মানে এতে কোন প্রকারের খাদ নেই।
অ্যাঙ্গোলার খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ডায়মান্টিনো আজেভেদো বলেছেন, লুলো থেকে উদ্ধার হওয়া যুগান্তকারী ও দর্শনীয় পাথরটি বিশ্ব ইতিহাসে অ্যাঙ্গোলার গুরুত্বের ধারা আরো একবার অব্যাহত রাখল।
অ্যাঙ্গোলার সরকার এবং অস্ট্রেলিয়ার লুকাপা ডায়মন্ড কোম্পনির পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে লুলো খনি থেকে উদ্ধার হওয়া এটি পঞ্চম বৃহত্তর হিরা।
এর আগে ২০১৭ সালে এমনই একটি হীরার টুকরা হংকংয়ে নিলামের জন্য উঠানো হয়েছিল, পিংক স্টার নামক সেই হীরার টুকরাটি বিক্রি হয়েছিলো ৭ কোটি ১২ লাখ (৭১ দশমিক ২ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারে।
জোহানা হার্ডি নামক একজন রত্ম বিশেষজ্ঞ বলেছেন, লুলো রোজ এর দাম কত হতে পারে সেটা পাথর কেটে হীরার টুকরাটি বের করে আনার আগে অনুমান করা অসম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন :