ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্ব শস্য উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ২০২৫-২৬ মৌসুমে। আন্তর্জাতিক শস্য পরিষদ (আইজিসি) সম্প্রতি জানিয়েছে, আসন্ন বিপণন বছরে রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা উৎপাদনের সম্ভাবনার কারণে বৈশ্বিক শস্য উৎপাদন ২.৩৭৩ বিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে। খবর ওয়াল্ড গ্রেইন আইজিসির এপ্রিল সংস্করণের ‘গ্রেইন মার্কেট রিপোর্ট’-এ জানানো হয়, ভুট্টা উৎপাদনের পূর্বাভাস সংশোধন করে ১.২৭৪ বিলিয়ন টনে উন্নীত করা হয়েছে। এটি ২০২৪-২৫ মৌসুমের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন হতে যাচ্ছে।
যদিও গম ও চালের উৎপাদনের পূর্বাভাসে বড় কোনও পরিবর্তন আসেনি, তবুও মোট শস্য উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি বছরে ৩ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইজিসি জানিয়েছে, ‘সরবরাহ ও ভোগের ভারসাম্য বজায় থাকায় বৈশ্বিক শস্য মজুত মোটের ওপর স্থিতিশীল থাকবে। মোটা শস্যের মজুত বাড়লেও, গমের মজুত টানা তৃতীয় বছরের মতো হ্রাস পেতে পারে।’
শস্য বাণিজ্য কিছুটা বেড়ে ৪২৪ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছে আইজিসি। তবে চীনের ক্রয় আগ্রহ কমে যাওয়ায় বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি গড়ের নিচে থাকতে পারে। অন্যদিকে ছোট ও উদীয়মান বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়বে বলেই পূর্বাভাস।
শুধু ভুট্টাই নয়, সয়াবিন উৎপাদনেও নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আইজিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ মৌসুমে বৈশ্বিক সয়াবিন উৎপাদন ৪২৮ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে। এর প্রধান কারণ হবে দক্ষিণ আমেরিকায় ফলপ্রসূ ফসল। পশুখাদ্য, খাদ্য ও শিল্প খাতে চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ভোগও বাড়বে। পাশাপাশি মজুত থাকবে উচ্চ পর্যায়ে।
২০২৪-২৫ মৌসুমে সয়াবিনের ভোগ ও মজুত দুটোই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাণিজ্য বেড়ে ১৮১ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে। চালের উৎপাদনে সামান্য পরিবর্তন আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইজিসি। ২০২৫-২৬ মৌসুমে বছরে বছরে ৩ মিলিয়ন টন উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে মোট উৎপাদন ৫৪০ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। ভোগ, বাণিজ্য ও মজুতেও সামান্য বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।
আইজিসির ‘গ্রেইন অ্যান্ড অয়েলসিড প্রাইস ইনডেক্স’ মার্চের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়েছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো ভুট্টা ও সয়াবিনের রপ্তানিমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, যা গম, চাল ও যবের দামের পতনকে পুষিয়ে দিয়েছে।