রাশিদুল ইসলাম : নিট পরীক্ষা দিতে গিয়ে নারী পরীক্ষার্থীদের ব্রা খুলতে বাধ্য করা হয়েছে, সোমবার সেই অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল কেরালায়। এক পরীক্ষার্থীর বাবা এই ঘটনায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিতর্কের মাঝে এই ঘটনায় মামলা রুজু করে কেরল পুলিশও। এরপরই জানা গেল, কেরালার কোল্লামে সেই ছাত্রীদের অন্তর্বাস খোলাতে বাধ্য করায় পাঁচ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দি ওয়াল
ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার আগে ছাত্রীদের অপমানজনক পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়ে পুলিশ এখনও অবধি মোট তিনটি অভিযোগ পেয়েছে। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি অবশ্য ছাত্রীর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি কোল্লামের নিট কেন্দ্রের সুপারিনটেনডেন্টের।
বিতর্কের সূত্রপাত সোমবার। ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর বাবা সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে এই প্রথমবার নিট পরীক্ষা দিচ্ছে। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ব্রা না পরে পরীক্ষা হলে বসার তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তার মেয়ে। সেই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি ওই ছাত্রী, জানিয়েছেন তার বাবা। ছাত্রীর বাবার আরও অভিযোগ, ‘৯০ শতাংশ ছাত্রীদেরই অন্তর্বাস খুলে স্টোররুমে রাখতে হয়েছিল।’
অভিযোগ, ছাত্রীকে এমন কথাও শুনতে হয়েছে যে ‘তোমার কাছে তোমার ভবিষ্যৎ বড় না ব্রা? ব্রা না খুলে এলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না’। ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, এরপর তার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বেরিয়ে আসে। মা-বাবা দুজনেই ছিলেন হলের বাইরে। মায়ের কাছ থেকে স্টোল চেয়ে নেন ছাত্রী। তা গায়ে দিয়ে পরীক্ষা দেন।
তবে কেরলের ওই নিট পরীক্ষাকেন্দ্রের সুপারিনটেন্ডেন্ট বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে আদৌ তেমন কিছু হয়নি। সবটাই কাল্পনিক। ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির বক্তব্য, নিটের ড্রেসকোডে এমন কোনও আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। অভিভাবকরা যা বলছেন তা হওয়ার কথা নয়।
এদিকে, শেষ অবধি ৫ নারীকে গ্রেপ্তার হওয়ায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সেই অভিভাবক। তার দাবি, প্রশাসন এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক। যেভাবে পরীক্ষা দিতে গিয়ে তার মেয়েকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, এমনটা যেন ভবিষ্যতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হোক।
আপনার মতামত লিখুন :