আয়নাঘরের সেই ইলেকট্রিক চেয়ার নিয়ে সমাজমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সেই ইলেকট্রিক চেয়ারে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক রফিকুল ইসলাম মাদানিকে বসানো হয়েছিল বলে তিনি নিজেই দাবি করেছেন। তবে যারা আয়নাঘর ঘুরে এসেছেন, তারা বলছেন, সেটিকে প্রথমে অনেকেই ইলেকট্রিক শক চেয়ার ভেবে ভুল করেছেন।
মূলত এটাতে হাত-পা মাথায় বেঁধে জোরে ঘুরানো হতো। আর এটা ইলেকট্রিক, তার প্রমাণ আছে- এটার সঙ্গে লাগানো তারের লেজ ছিল। মানে তার কেটে ফেলার পরও কিছু তার রয়ে গেছে।
যেহেতু রিভলভিং চেয়ার শাস্তির সঙ্গে পরিচিত না, তাই অনেকে এটাকে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার চেয়ার ভেবেছেন। জানা গেছে, গুম কমিশন এই চেয়ারটা অনেক কষ্ট করে খুঁজে পেয়েছে। এটা লুকানো ছিল। কেউ কেউ বলছেন, এটি ইলেকট্রিক চেয়ার না। এই চেয়ারে বসিয়ে ভুক্তভোগীকে শক দেওয়া হতো না। এটি রিভলভিং চেয়ার, নিচে মোটর ফিট করা (একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যে চেয়ারটি ঘোরে)।
ভুক্তভোগীকে এই চেয়ারে বসিয়ে তার হাত-পা আটকিয়ে মোটরের সাহায্যে ফ্যানের মতো ঘুরিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়- চেয়ারের নিচে হুকের মতো আছে।
এতে নাট-বল্টুর সাহায্যে ফ্লোরে আটকে রাখা হতো। আয়নাঘর নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালাগুলোর মধ্যে তিনটি পরিদর্শনের পর এগুলোকে ‘ভয়াবহ ও অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী এবং কয়েকজন উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ‘আয়না ঘর’ পরিদর্শন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :