শিরোনাম
◈ ৬ বছর পর রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে স্বশরীরে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া ◈ ৫ দাবীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান, বেকায়দায় সচিব ◈ সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে পারছে না : রিজভী ◈ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মীদের বিক্ষোভ, কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ডিজি ◈ সোমবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপাতত কমিশন গঠন করছে না সরকার: হাইকোর্টকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ সরকারি চাকুরেদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত, পাবেন পেনশনভোগীরাও ◈ হিন্দুদের নিয়ে নেবো, তারপর বাংলাদেশের কী হবে? বিজেপি নেতার হুংকার ◈ আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের প্রশ্ন উঠছে কেন ◈ গাজীপুর-ঢাকা নতুন ট্রেন চালু, স্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম সরবরাহকারী দেশ মিয়ানমার: জাতিসংঘ

গত তিন বছর ধরে মিয়ানমারে উচ্চ মাত্রায় আফিম চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওডিসি)। এই সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাষের পরিমাণ সামান্য (৪ শতাংশ) কমে ৪৭ হাজার ১০০ হেক্টর থেকে ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টরে নেমে এসেছে। কিন্তু মিয়ানমার এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম সরবরাহকারী দেশ।

তবে চাষের এই পরিবর্তন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসমভাবে ঘটেছে। কিছু এলাকায় চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আবার কিছু এলাকায় কমেছে।

ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি মাসুদ করিমিপুর জানান, মিয়ানমারে উৎপাদিত আফিমের পরিমাণ এখনো বিগত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলমান সংঘাত ও আফগানিস্তানে আফিম চাষে নিষেধাজ্ঞার ফলে, ভবিষ্যতে মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিবেদনে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে আফিম চাষের বৈচিত্র্যের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। দেশটির শান রাজ্য সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী অঞ্চল, যেখানে দেশের মোট আফিম চাষের ৮৮ শতাংশ উৎপাদিত হয়। উত্তর ও দক্ষিণ শানে চাষের পরিমাণ কিছুটা কমলেও, পূর্ব শান রাজ্যে (যা লাওস এবং থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী) ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কাচিন রাজ্যে ১০ শতাংশ হ্রাস পেলেও, চিন রাজ্যে চাষ ১৮ শতাংশ বেড়েছে। কায়াহ রাজ্যে তুলনামূলক কম হলেও, এ বছর ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘বাজারমূল্য’ আফিম চাষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুকনো আফিমের দাম ৮ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ৩০৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক বাজারে আফিমের ঘাটতি দেখা দিলে, মিয়ানমারের কৃষকদের দেওয়া দামের ওপর চাপ বাড়তে পারে। ফলে, মিয়ানমারের কৃষকদের আফিম চাষের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।

ইউএনওডিসির প্রতিনিধি করিমিপুর সতর্ক করেছেন, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলে উচ্চমাত্রায় আফিম চাষসহ সিনথেটিক ড্রাগ (মেথামফেটামিন) উৎপাদন ক্রমাগত বাড়ছে এবং অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে আফিম চাষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আফিম চাষকারী গ্রামগুলোতে সাধারণত চরম দারিদ্র্য, ঋণের বোঝা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। ফলে তারা আয়ের পথ হিসেবে আফিম চাষে ঝুঁকছেন।

ইউএনওডিসির মিয়ানমার বিষয়ক কান্ট্রি ম্যানেজার ইয়াটা ডাকোওয়া বলেন, ‘মিয়ানমারের কৃষকেরা আফিম চাষ করে ধনী হন না বরং তাদের পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন। তাদের আফিম চাষ থেকে দূরে রাখতে হলে টেকসই আয়ের উৎস তৈরি করতে হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়