জিয়াবুল হক, টেকনাফ : পায়ে হেঁটে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে ও নিজেকে সুস্থ রাখতে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেছেন তাহুরা সুলতানা (২৫) নামে এক তরুণী।
গত ২৯ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৬ টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জিরো পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেন তাহুরা। সোমবার ২ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে তিনি ১৬৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সাতকানিয়া উপজেলায় পৌঁছেছেন।
একা হাঁটা শুরু করলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে পথে পথে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই। তাহুরা সুলতানা চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবীণ শিক্ষক রশিদ আহমেদ ও গৃহিণী তৈয়বা খাতুনের মেয়ে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে তাহুরা জানান, দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি মানুষকে হাঁটায় উদ্বুদ্ধ করতেই তার এই যাত্রা। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তার এই পদযাত্রার খরচও বহন করছেন নিজে। অনলাইনে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত টাকা জমিয়ে তিনি এ যাত্রায় নেমেছেন।
তাহুরা আরও বলেন, পরিবারে আমি সবার ছোট। শৈশব থেকেই ঘোরাঘুরি পছন্দ করি। চ্যালেঞ্জিং কোনো বিষয় গ্রহণ করতে ভালো লাগে। এসব কারণেই হেঁটে দেশভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিই। যাত্রা শুরুর পর যেখানেই বিরতি নিচ্ছি, সেখানে মানুষের ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় আমি অভিভূত।
হাঁটার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য ভালো থাকে জানিয়ে তাহুরা বলেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা জরুরি। তাই এই পদযাত্রার মাধ্যমে মানুষও যাতে হাঁটায় উদ্বুদ্ধ হয়, সেটি আমি চাই। এই দীর্ঘ পথ ২০ থেকে ২৫ দিনে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছি। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, একজন নারী হিসেবে তাহুরা সুলতানার এই পদক্ষেপকে উপজেলা প্রশাসন সাধুবাদ জানায়। তাকে দেখে মানুষ সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটতে উদ্বুদ্ধ হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :