হ্যাপি আক্তার: দিনভর নানা আয়োজনে মুখর ছিল কলেজ প্রাঙ্গণ। কাঁঠালকথন, কাঁঠালরঙ্গ, আবৃত্তি, গান, সম্মাননা ও আলোচনা সভা শেষে রাখা হয় কাঁঠাল খাওয়ার প্রতিযোগিতা।
‘কাঁঠালের বহু ব্যবহার, প্রাণ প্রকৃতি সুস্থ করে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামানে রেখে চুয়াডাঙ্গায় ৪র্থ কাঁঠাল উৎসব পালন করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ কাঁঠাল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা জেলা সংসদ কাঁঠাল উৎসবের আয়োজন করে।
কাঁঠাল উৎসবে মাত্র দুই মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের কর্মচারী বিলকিস বেগম ৫৯টি কাঁঠালের কোয়া খেয়ে প্রথম স্থান, ৪৯টি কাঁঠালের কোয়া খেয়ে নয়ন রায় দ্বিতীয় স্থান এবং ৪৬টি কাঁঠালের কোয়া খেয়ে আফিফ তৃতীয় স্থান লাভ করেন। এসময় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা জেলা সংসদের সভাপতি হাবিবে জহির রায়হানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম সাইফুর রশীদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কাঁঠাল উত্সব দর্শকরা উপভোগ করেন।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কেএম সাইফুর রশিদ বলেন, কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্হায় খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁঠাল পাকলে কোষ খাওয়া হয়। এ কোষ নিংড়ে রস বের করেও খাওয়া যায়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাওয়ার ধরণ পরিবর্তন করা দরকার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, গ্রামবাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত কাঁঠালের বহু বহু মজার মজার কাহিনী আছে। কাঁঠাল নিয়ে রঙ্গ তামাশাগুলোও বেশ জনপ্রিয়। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এ ফলটি বহু প্রাকৃতিক গুণ আছে। সূত্র: ইত্তেফাক
আপনার মতামত লিখুন :