এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের নিয়ে দশকের পর দশক ধরে গবেষণা চলছে। নানা রকম দাবি-দাওয়াও সামনে এসেছে এযাবৎ। সেই নিয়ে এবার বড় ঘোষণা করলেন নাসার ফিল্ম নির্মাতা সাইমন হল্যান্ড। সাইমন হল্যান্ডের দাবি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের উদ্যোগে হওয়া একটি কর্মসূচি বিশেষভাবে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব, প্রমাণসহ অনুসন্ধানের জন্যই গৃহীত হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল মার্ক জুকারবার্গের ‘ব্রেকথ্রু লিসেন প্রোজেক্ট’ও। সেই সূত্র থেকেই খবর মিলেছে যে, ভিনগ্রহীরা সত্যিই রয়েছে।
আর তার অকাট্য প্রমাণও মিলেছে। অস্ট্রেলিয়ায় পার্কস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে ‘এলিয়েন’দের পাঠানো সিগন্যাল। ২০১৯ সালে সেই প্রমাণ বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছিল, কিন্তু তখন তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, পৃথিবী থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে, প্রক্সিমা সেনটরি নক্ষত্র সংলগ্ন অঞ্চল থেকে সিগন্যাল এসে পৌঁছেছে বিজ্ঞানীদের কাছে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্কস রেডিও টেলিস্কোপের ব্রেকথ্রু লিসন ক্যান্ডিডেট ১ (BLC-1) ওই সিগন্যাল ধরতে সফল হয়। প্রক্সিমা সেন্টারি সূর্যের পর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র।
সিগন্যালের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি পরিমাপ করে দেখা গিয়েছে ৯৮২ মেগাহার্জ। এসবই প্রমাণ করে, প্রক্সিমা সেন্টারির গা ঘেঁষে অবস্থিত কোনও ঘূর্ণায়মান গ্রহ থেকে পৃথিবীতে সিগন্যাল পাঠিয়েছে এলিয়েনরা। সেই নিয়ে এতদিন ধরে গবেষণা চলছিল। কোথা থেকে ওই সিগন্যাল এসেছিল, তার উৎস খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। ভিনগ্রহীদের কাছ থেকে ওই সিগন্যাল আসেনি বলে ২০২১ সালে একদল বিজ্ঞানী সিদ্ধান্তে উপনীত হন। কিন্তু গবেষণায় যে সমস্ত তথ্য ক্রমশ হাতে এসে পৌঁছায়, তাতে অবস্থান বদলাতে শুরু করেন তারা। সাইমন জানিয়েছেন, BLC-1 যে সিগন্যালটি ধরতে সক্ষম হয়, তা সাধারণ কোনও শব্দ নয়।
বরং সবদিক থেকে ওই সিগন্যাল অনন্য। একটিমাত্র উৎস থেকে ওই সিগন্যাল এসে পৌঁছায় পৃথিবীতে। মানবজাতির ব্যবহার ব্যতীত কোনও প্রযুক্তির মাধ্যমে সেটি পাঠানো হয়েছে। এর আগে, ২০২২ সালেও ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে এমন শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। চীনা বিজ্ঞানীরা সেবার জানান, Five-Hundred-Metre Aperture Spherical Telecsope (FAST)-এ ভিনগ্রহীদের পাঠানো সিগন্যাল ধরা পড়েছে। পরবর্তীতে সেই মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান তারা। তাই সাইমনের ঘোষণায় শোরগোল পড়ে গেলেও এখনই কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাইছেন না তারা। সূত্র: এনডিটিভি
আপনার মতামত লিখুন :