শিরোনাম
◈ রাখাইনের গেরিলা কমান্ডার থেকে আঞ্চলিক শক্তি: তোয়ান মারত নাইংয়ের উত্থানের গল্প ◈ ইউক্রেন শান্তিচুক্তি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের: ‘অগ্রগতি না হলে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র’ ◈ ১৪ ঘণ্টা পর ড্রেনে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ শিশুর মরদেহ মিলল  ◈ তিন দাবিতে এনসিপির নতুন কর্মসূচি ◈ গাজায় খাদ্য সংকট চরমে, ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৬৪; মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়ালো ◈ তেহরানে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক: খামেনির কাছে বাদশাহ সালমানের গোপন চিঠি হস্তান্তর ◈ মুরাদনগরে একই দিনে বিএনপি ও এনসিপির পাল্টাপাল্টি জনসভা ঘোষণা, উত্তেজনা চরমে ◈ ব্রাজিলকে নি‌য়ে মেসির আ‌ক্ষেপ ◈ হঠাৎ যে কারণে ইসরায়েলে উড়ে এলো ঝাঁকে ঝাঁকে মার্কিন সামরিক বিমান! ◈ বাংলাদেশে শিক্ষকদের অপমান ও জবরদস্তিমূলক পদত্যাগ: শিক্ষা ব্যবস্থায় অশনি সংকেত

প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:২২ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চোর, পুলিশ, চিকিৎসক সব নারীকেই বিয়ে করে বিশ্ব রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। বা বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিয়ের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

বেশিরভাগ মানুষের জীবনে বিয়ে একবারই হয়। একজন জীবনসঙ্গীর সঙ্গেই সারাজীবন কাটিয়ে দেন সুখে শান্তিতে। তবে অনেকের মতের অমিল কিংবা নানান ধরনের অমিলের কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, এমনকি তারা পুনরায় বিয়ে করে সুখী জীবন কাটান।


তবে কোনো দুর্ঘটনা নয়, শখেও অনেকে বিয়ে করে। বিয়ে যে কারো শখ হতে পারে তা হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। তবে এমন একজন মানুষ আছেন যিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক বিয়ে করে রেকর্ড গড়েছিলেন। জীবনে ৩১ বার বিয়ে করেছিলেন। ২৯ জন স্ত্রী ছিল তার। চোর থেকে পুলিশ, চিকিৎসক সব পেশার নারীকেই বিয়ে করেছিলেন তিনি।

গ্লিন উলফ ১৯২৬ সালে তার এই বিয়ে করার যাত্রা শুরু হয়। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। সেসময় তিনি ইন্ডিয়ানার কাছেই একটি হাই স্কুলের ছাত্রী হেলেনাকে দেখে তার প্রেমে পড়েন এবং তাকে বিয়ে করেন। গ্লিনের কোনো কোনো বিয়ে টিকে ছিল কয়েক বছর, কোনো বিয়ে কয়েক মাস, কোনো বিয়ে আবার মাত্র কয়েক দিনের জন্য।

হেলেনকে বিয়ে করার কয়েক মাস পরে, তিনি তাকে তালাক দেন এবং মার্জোরিকে বিয়ে করেন, যাকে তিনি কয়েক মাস পরে তালাক দেন। এরপরে আসেন মার্গি, তার পরে তার বান্ধবী মিলড্রেড। যখন স্কটি ইন্ডিয়ানা আদালতে তাকে মার্জিকে মিলড্রেডের জন্য পরিবর্তন করার অনুমতি দিতে বলেন, তখন বিচারক তাকে মধ্য আমেরিকাকে আধুনিক গোমোরাতে পরিণত করার জন্য তিরস্কার করেন।

একবার অতিরিক্ত মদ্যপান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গ্লিন। তখন নার্সের তিনি বলেছিলেন তিনি প্রিসেন্স ডায়নাকে বিয়ে করতে চান। এমনকি তা নিয়ে এমন জোরাজুরি শুরু করেন যে তার প্যানিক অ্যাটাক হয়ে যায়। প্রিসেন্স ডায়নাকে বিয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও সেই যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান গ্লিন। এমনকি তার মৃত্যু হয় ৮৯ বছরে, তখনো তিনি ছিলেন মাদকাশক্ত।


গ্লিনের ২৯টি স্ত্রীর মোট ১৯ জন সন্তান ছিল। কিন্তু শেষ জীবন তার এতটাই নিঃসঙ্গ ছিল যে, জন উলফ নামের ৩৩ বছর বয়সী এক সন্তান ছাড়া কেউই তাকে সমাধিস্থ করতে আসেননি। কোনো স্ত্রী, সন্তান এমনকি কোনো আত্মীয়স্বজনও আসেননি গ্লিনকে শেষ বিদায় দিতে। ২৯ জন স্ত্রীর মধ্যে ২৮ নম্বর স্ত্রীর সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি দিন সম্পর্কে ছিলেন গ্লিন, ১১ বছর। সেই স্ত্রীর নাম ক্রিস্টিন ক্যামাচো।

সুত্র : জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়