শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:৫২ রাত
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ

এম এইচ বাচ্চু : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান রয়েছে। এ দেশ অর্জিত হয়েছে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে। যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে এই শিক্ষাই ধর্মের শিক্ষা। সেটাই আমাদের দেশে বিদ্যমান রয়েছে। 

এছাড়া অন্য ধর্মের লোকও বাস করে। কিছু মানুষ শিখ ধর্ম, বাহাই বিশ্বাস, সারনাবাদ, অ্যানিমিজম এবং অন্যান্য কিছু ধর্মের মতো ধর্মও অনুসরণ করে।  অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ও শান্তিতে বসবাস করে। 

ইসলাম ধর্মে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। যারা সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশৃংখলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, রক্তপাত ঘটায়, ধ্বংসযজ্ঞ এবং নৈতিকতা বর্জিত অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড চালায়, তারা কখনো শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী হতে পারে না।

রাজনীতিক পালাবদল হলে দেশবিরোধী নানা অশুভ তৎপরতা ও ষড়যন্ত্র হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর সংখ্যা লঘুদের ওপর হামলার ফেক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ঢাকাসহ কয়েক জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে। পরে যখন ফেক ভিডিও ছাড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায় তখন সংখ্যালঘুরা পারে, এটা মিথ্যা। তারা বুঝতে পেরেছে একটি গোষ্ঠি একটা ফয়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। মিথ্যা ভিডিও ছড়িয়েছে। 

বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করছে এবং সবাই সমান অধিকার নিয়েই বসবাস করছে। সংবিধানে বলা হয়েছে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে। তাঁর নীতি অনুসরণ করেই কাজ করবে। আমাদের দেশে একটা স্লোগানই আছে- ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই দেখা যায় হিন্দুদের উৎসবে মুসলিমরা যায়। হিন্দুরাও মুসলমানের উৎসব তারা ভাগাভাগি করে নেয়। এমন অনেক হিন্দু পরিবার আছে, যারা আমাদের ঈদুল ফেতরে তাো নুতন পোশাক কেনে পরিবারের সবার জন্য। 

২০২২ সালের আদম শুমারির প্রতিবেদনে বলা হয়,  মুসলিম জনসংখ্যা ছাড়া অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি । 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হিন্দু জনসংখ্যা ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৬২ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ, খ্রিস্টান জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৩১ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ১৪ থেকে কমে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশে নেমে এসেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়