শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেম। তারপর বিয়ে করেন ২৬ বছর বয়সী ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণ। বিয়ের কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর আচরণে সন্দেহ জাগে তার। পরে জানতে পারেন, দীর্ঘদিন যার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছেন সে আসলে মেয়ে নয়, ছেলে। সূত্র: এনডিটিভি
[৩] ওই তরুণের নাম একে। তিনি জাভা দ্বীপের নারিংগুল অঞ্চলের বাসিন্দা। ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আদিনদা কানজা নামের এই নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তারা দেখাও করেন। তবে কানজার সঙ্গে যখনই দেখা হতো, তিনি বোরকা পরে তার মুখ ঢেকে আসতেন।
[৪] একে জানান, ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের প্রতি তার এই নিষ্ঠা দেখে তিনি কখনও এ নিয়ে কিছু বলেননি। এটা নিয়ে তার বিরক্তিবোধও লাগেনি কখনও। সূত্র: সাউথ চায়না
[৫] এক পর্যায়ে গিয়ে তারা একে অন্যের প্রেমে পড়ে যান এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের সময় কানজা জানান, তার পরিবারে এমন কেউ নেই, যারা বিয়েতে থাকতে পারেন। তাই একের বাড়িতেই গত ১২ এপ্রিল বিয়ের আয়োজন করা হয়।
[৬] বিয়ের মাত্র ১২ দিনের মাথায় একের মনে কানজার আচার-আচরণে সন্দেহ জন্মে। তিনি দেখলেন, কানজা তার (একে) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে চান না। আবার বাড়ির ভেতরও পর্দা করেন। এমনকি একে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে কোনও না কোনও বাহানা করে এড়িয়ে যান! সূত্র: মর্নিং পোস্ট
[৭] এই পরিস্থিতিতে একের মনে সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। কানজা তার পরিবারের যে গল্প বলেছিলেন, সেই সূত্র ধরে তিনি খোঁজ শুরু করেন। সেই অনুসন্ধানে নেমে একে জানতে পারেন, কানাজার বাবা-মা বেঁচে আছেন আর তারা একে’র সঙ্গে তাদের সন্তানের সম্পর্কের বিষয়টি জানেন না।
[৮] তবে একে যে বিষয়টি জেনে ধাক্কা খান তা হলো, কানজা মেয়ে নয়, ছেলে। ২০২০ সাল থেকে তিনি মেয়েদের পোশাক পরছেন। আর তার আসল নাম এশ।
[৯] এশ এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। কানজা ওরফে এশ অবশ্য পরে পুলিশকে জানিয়েছেন, একের কাছ থেকে তার পারিবারিক সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার জন্যই তিনি এমনটা করেছেন। স্থানীয় আইনে প্রতারণার দায়ে তার চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
এসসিডি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :