এল আর বাদল: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার ফাইনালে হালে পানি পেলো না। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে করুন চিত্রই ফুটে উঠেছে বার বার। ব্যাটিং ছিলো যাচ্ছে তাই। এদিন প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল দুর্দান্ত পারফরম করে বিপিএল শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে। তারা কুমিল্লাকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে।
তামিম ও মিরাজের ৭৬ রানের পার্টনারশীপ শিরোপা জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা না পাওয়ার বেদনা ছিল বরিশালের। অবশেষে সেই ক্ষতে তারা প্রলেপ দিতে সক্ষম হলো। এদিন ম্যাচের আগে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করে পুরো স্টেডিয়াম।
ওপেনার তামিম আউট হওয়ার পর কাইল মায়ার্স মাঠে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে থাকে। তার তাণ্ডবেই ভিক্টোরিয়ান্সকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অঙ্কনের ৩৮ ও শেষ দিকে রাসেলের ১৪ বলে ২৭ রানে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল।
কুমিল্লার দেওয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সংগ্রহ পায় বরিশাল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তামিম ইকবাল ও মেহেদি মিরাজ ৭৬ রানের জুটি গড়েন। তামিম ব্যক্তিগত ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে ৩৯ রান সংগ্রহ করে মঈন আলির বলে বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। তামিমের বিদায়ের ৬ রান পরই বিদায় নেন আরেক ওপেনার মেহেদি মিরাজ। তখন বরিশালের রান ৮২। এরপর তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম ৫৯ রানের জুটি গড়েন।
এরপর দলীয় ১৪১ রানে মায়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা মুস্তাফিজ। তার আগে মায়ার্স ৩০ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৪৬ রান। মায়ার্সের বিদায়ের তিন রান পরেই মুশফিককে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মুস্তাফিজ। ম্যাচে এটি ছিল ফিজের দ্বিতীয় শিকার। পঞ্চম উইকেটে মিলার ও মাহমুদউল্লাহ মিলে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস হেরে পঞ্চম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু রানের জন্য বরিশালের বোলারদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাদের। এদিন ব্যাট হাতে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন ইনফর্ম ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাসরা। কিন্তু অঙ্কনের সময়োপযোগী ৩৮ রান ও শেষ দিকে রাসেলের ১৪ বলে ২৮ রানের কল্যাণে ১৫৪ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা।
আপনার মতামত লিখুন :