স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে জার্সি বিক্রি শুরু হয়েছিলো গত শতকের ৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে। ১৯৭৩ সালে ফুটবলে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম ইংলিশ ক্লাব লিডস ইউনাইটেডের জার্সি বানিয়ে দিয়েছিলো অ্যাডমিরাল।
এরপর পাঁচ দশক ধরে ক্লাবের জার্সি ও অন্যান্য স্মারক বিক্রি আসছে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
সম্প্রতি উয়েফা ২০২৩ অর্থবছরের আর্থিক ও বিনিয়োগ– বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে গত বছর জার্সি ও স্মারক বিক্রি করে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে বার্সেলোনা। স্পেনের এই ক্লাবটি জার্সি ও স্মারক বিক্রি করে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ইউরো আয় করেছে।
করোনার সময় থেকেই বার্সা অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। লা লিগার বেতন সীমাসংক্রান্ত নীতির কারণে লিওনেল মেসির সঙ্গেও চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি তারা। অনেকেই ভেবেছিলো নিজেদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়কে ছেড়ে দেওয়ায় বার্সার জার্সি বিক্রি কমে যাবে। কিন্তু হয়েছে এর উল্টোটা। -প্রথম আলো
জার্সি ও স্মারক বিক্রিতে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে দুটি প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের নাইকি আর জার্মানির অ্যাডিডাস। সবচেয়ে লাভবান ১০ ক্লাবের ৫টির জার্সি ও স্মারক বানিয়েছে নাইকি, বাকি ৫টির অ্যাডিডাস। সর্বোচ্চ আয় করা ১০ ক্লাবের ৫টিই ইংল্যান্ডের। দুটি স্পেনের এবং একটি করে ক্লাব জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির।
বার্সেলোনার পরেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবটি আয় করেছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। ১৪ কোটি ৭০ লাখ ইউরো আয় করে তিনে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। যে ক্লাবের হাত ধরে ইউরোপীয় ফুটবলে প্রথম জার্সি বিক্রি শুরু হয়েছে, সেই লিডস ইউনাইটেড আছে ১৬ নম্বরে।
চারে লিভারপুল ১৩ কোটি ২০ লাখ ইউরো, পাঁচ নম্বরে রয়েছে ম্যান ইউনাইটেড ১৩ কোটি ইউরো, ছয়ে পিএসজি ৯ কোটি ৭০ লাখ ইউরো, আর্সনাল ৮ কোটি ৯০ লাখ ইউরোতে রয়েছে সাত নম্বরে, আটে চেলসি ৮ কোটি ৭০ লাখ ইউরো এরপর জুভেন্টাস ৭ কোটি ৪০ লাখ ইউরো ও টটেনহাম ৭ কোটি ৪০ লাখ ইউরো।
এলআরবি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :