স্পোর্টস ডেস্ক: ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১০ সালের পর আর কোনো সিরিজ খেলার জন্য আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। ভবিষ্যৎ সফরসূচির (এফটিপি) তালিকাতেও টাইগারদের ইংল্যান্ডে কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। যার ফলে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ক্রিকেটের জনকদের দেশে বাংলাদেশের খেলার সূচি নেই। তবুও আগামী দুই বছরের মধ্যেই হতে পারে প্রতীক্ষার অবসান।
ইংল্যান্ডের গ্রীষ্ম মৌসুমে এফটিপি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে পাঁচটি করে টেস্ট আছে। ওই সময় সামান্য জায়গা ফাঁকা থাকায় এই দুই বছরে একটি করে বাড়তি টেস্টের আয়োজন করতে ইচ্ছুক ইসিবি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে লর্ডসে টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। - চ্যানেলআই
বাংলাদেশ ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে খেলেছিল। চলতি বছর চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এসব টুর্নামেন্টে দর্শক চাহিদা ছিল উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য ইসিবি তাই টাইগারদের সঙ্গে টেস্ট খেলার কথা ভাবছে।
রবার্ট মুগাবের শাসনামলে জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সাথে ইসিবির সম্পর্ক বৈরিতায় রূপ নিয়েছিল। ইংল্যান্ড ২০০৩ সাল থেকে জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাঠে আতিথ্য দেয়নি। ২০০৪ সালের পর দল দুটির কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজও হয়নি। যুক্তরাজ্য সরকার পরবর্তীতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে না খেলার জন্য ইংল্যান্ড দলকে নির্দেশ দেয়। তবে দেশ দুটির ক্রিকেটীয় সম্পর্কের উন্নতি হওয়ায় জিম্বাবুয়ের আবারো ইংল্যান্ড সফরের আশা জেগেছে।
ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড বিশ্বজুড়ে টেস্ট খেলাকে প্রাণবন্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি সম্প্রতি ফাইনাল ওয়ার্ড পডকাস্টে বলেছিলেন, ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলতে শুধু আগ্রহী করে তোলাই নয়, টেস্টে উৎসাহ বাড়িয়ে তুলতে তাদেরকে ভালো পরিমাণের পারিশ্রামিক দেয়ার পথ খুঁজছে ইসিবি। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান নির্বাহী গাই ল্যাভেন্ডার ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ২০২৪ সালেও লর্ডসে দুটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে আমরা অনেক বেশি মুখিয়ে আছি ।
এলআরবি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :