স্পোর্টস ডেস্ক: গত শুক্রবার সিরাত জাহান স্বপ্না ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর দলের দায়িত্ব ছাড়া সিদ্ধান্ত নেন দেশের জনপ্রিয় কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটোন। ছোটনের এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন দেশের ফুটবল ভক্তরা। তবে নারী ফুটবলের সাফল্যের চাবি কাঠি এই কোচকে দলে রাখার কথা বলেছেন মাহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। সূত্র: কালেরকন্ঠ
কিরণ বলেন, অবশ্যই আমরা কোচকে রাখতে চাই। রাখতে না চাওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মেয়ে ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করছেন। তাদের দেখেন নিজের সন্তানের মতো। উনাকে আমরা রাখব না কেন? অবশ্যই রাখব।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের মতো আমিও সংবাদমাধ্যমে দেখেছি বা শুনেছি এই খবর। ছোটন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি যেটা বলেছেন, তিনি মূলত ক্লান্তির কথা বলেছেন। এ কারণে তিনি কাজ করতে চান না, থাকতে চাচ্ছেন না। আমি বিষয়টা বাফুফে সভাপতিকে জানিয়েছি। এখন এ ব্যাপারে ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র দেননি। আমার সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে, সেটা সভাপতিকে জানিয়েছি।
কোচ জানিয়েছেন মানসিক অশান্তি নিয়ে আসলে কাজ করতে চান না ফুটবল ফেডারেশনে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করার পরও শুনতে হয় নানা কথা। এটা হয় না, ওটা হয় না। এসব আর শুনতে ভালো লাগছে না। কে বা কারা এ রকম কথা বলে, তা স্পষ্ট না করলেও বোঝা যায় অভিযোগের অঙ্গুলি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির দিকেই। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই সমস্যা ছিল হেড কোচের।
৩১ মের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে রাখার কথা কিরণ বললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের একটি সূত্র জানাচ্ছে অন্য কথা, বাফুফের বড় কর্তা (সভাপতি) ছোটনকে রাখতে চাইছেন না। কাউকে না জানিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে পদত্যাগের কথা বলায় এই কোচকে আর রাখতে চান না।
এদিকে মেয়েদের মধ্যেও ক্ষোভ জমা হয়েছে অনেক। বিশেষ করে সেপ্টেম্বরে সাফ জয়ের পর তারা আর কোথাও খেলেনি। মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই থাকলেও বাফুফে দল পাঠায়নি অর্থাভাবের অজুহাতে। এ কারণে হতাশা কাজ করছে মেয়ে ফুটবলারদের মধ্যে। এতে ভাঙন ধরেছে নারী ফুটবল দলে। রিপোর্ট: সাঈদুর রহমান, সম্পাদনা: এল আর বাদল
এসআর/এলআরবি/এএ
আপনার মতামত লিখুন :