স্পোর্টস ডেস্ক: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছিল চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১৭৯ রানের লক্ষ্য ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন গুজরাটের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। শেষ পর্যন্ত টপ-অর্ডারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বড় লক্ষ্যের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন দুই ওপেনার। কিন্তু ২ চার ও দুই ছক্কায় ১৬ বলে ২৫ রান করে রাজবর্ধন হাঙ্গারজকারের বলে শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৩৭ রানে ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা। এই উইকেট-কিপার ব্যাটার ফিরলেও ক্রিজে থিতু হয়ে ৩০ বলে দুই ছক্কা ও ৫ চারে আইপিএল ক্যারিয়ারে ১৬তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শুভমান গিল। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৩ রান করে দীপক চাহারে পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে একাদশে জায়গা পাওয়া তুষারের বলে আউট হয়ে ফিরে যান তরুণ এই ওপেনার।
তবে এদিন ক্রিজে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ৭২ দশমিক ৭২ স্ট্রাইকরেটে ১১ বলে খেলেন মাত্র ৮ রানের ইনিংস। অন্যদিকে চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের সময় ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে হাতে আঘাতে পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন কিউই ওপেনার কেন উইলিয়ামসন। কিউই এই ব্যাটারের পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে একাদশে সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগান সাই সুদর্শন। আইপিএল ক্যারিয়ারের সপ্তম ম্যাচে ৩ চারের মারে সাজানো ইনিংসে ২২ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত মিডল-অর্ডারের রশিদ খানের ১০ ও রাহুক্ল তেওয়াটিয়ার ১৫ রানের সুবাদে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
চেন্নাইয়ের হয়ে রাজবর্ধন হাঙ্গারজকার তিনটি এবং রবীন্দ্র জাদেজা ও তুষার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে রুতুরাজ গাইকোয়াড়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানে থেমেছে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমেই দুর্দান্ত শুরু করেন ওপেনার রুতুরাজ গাইকোয়াড়। তবে আরেক প্রান্তে ব্যর্থ ছিলেন ডেভন কনওয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই কিউই ওপেনার।
তিনে নেমে ভালো শুরু করলেও উইকেটে থিতু হতেই পারেননি ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে সাই কিশোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৭ বলে ২৩ রানে রশিদ খানের শিকার হন তিনি।
এদিন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি অলরাউন্ডার বেন স্টোকস এবং আমবাতি রাইডু। এক ছক্কায় মাত্র ১২ রানে থেমেছেন রাইডু, আর ৭ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেন রুতুরাজ। মাত্র ২৩ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়ে আরও ঝোড়ো গতিতে ব্যাট করতে থাকেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত নার্ভাস নাইন্টির ফাঁদে পরে ফিরেছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করা রুতুরাজ। তার ৯ ছক্কা ও ৪ চারে ৫০ বলে ৯২ রানের এক ক্যামিও ইনিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৮ রানে থামে আইপিএলের চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
গুজরাটের হয়ে মোহাম্মদ শামি, রশিদ খান ও আলজেরি জোসেফ দুটি করে এবং জশুয়া লিটল একটি উইকেট নিয়েছেন। আরটিভি
আপনার মতামত লিখুন :