স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে হবে ক্রিকেট। পুরুষ এবং মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যোগ দেবে ছ’টি করে দল। ১৯০০ সালের পর আবার ২২ গজের লড়াই দেখা যাবে অলিম্পিকে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জ়িল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলি পদকের জন্য লড়াই করবে। তবে তাদের সোনার স্বপ্নে জল ঢেলে দিতে পারে চীন। এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ ওয়।
অলিম্পিকে চীন অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ। পদক তালিকায় প্রথম দু’দেশের মধ্যে থাকে। প্রথম স্থান নিয়ে তাদের লড়াই আমেরিকার সঙ্গে। যে কোনও ইভেন্টে সোনা জয়ই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ২২ গজের লড়াই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে চিনাদের কাছে। প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তারা। -- আনন্দবাজার
গত প্যারিস অলিম্পিকে ৪০টি সোনা, ২৭টি রুপো এবং ২৪টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে চিন। আগামী অলিম্পিকে ক্রিকেটের সোনাও জিততে চায় তারা। এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ বলেছেন, ‘অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে চিন। ভীষণ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্রিকেটে। দল তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। সোনা জিততে চায় চিন।’’ অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবে মাত্র ছ’টি করে দেশ। চিন কি পারবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিকে টপকে যোগ্যতা অর্জন করতে? চিনের তো ক্রিকেট খেলার তেমন অভিজ্ঞতাই নেই! স্টিভ নিশ্চিত কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর বক্তব্য, চিন যে খেলাকে গুরুত্ব দেয় সেই খেলাতেই অত্যন্ত দ্রুত উন্নতি করে।
এখন ক্রিকেটকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে। অলিম্পিকে সোনা জয়ের সুযোগ চিনকে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ করে তুলেছে। তাই ওরা অদূর ভবিষ্যতে ক্রিকেটেও অলিম্পিক্স পদক জয়ের দৌড়ে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আমেরিকা, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলি ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। স্টিভ মনে করছেন ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ব্যাপারটা খুব আকর্ষণীয়। পৃথিবীর নতুন নতুন অংশে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে ক্রিকেট। আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। কারণ পর পর দু’টি অলিম্পিক্সে ক্রিকেট নিশ্চিত। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রভাব এখন দারুণ। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। টি-টোয়েন্টির সুবাদে প্রতি দিন ক্রিকেটের প্রসার হচ্ছে। আগমী দিনে আরও বেশি ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলা হবে। ক্রিকেটারেরা আরও বেশি করে লিগগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে। হয়তো এমন দিন আসবে যখন টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে।