মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম ইকবাল। মাঠে হৃদয়ের একটি ঘটনার জেরে শাস্তি, সেটির পরিবর্তন, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা—সবমিলিয়ে বিসিবির পদক্ষেপে বিস্মিত সাবেক এই অধিনায়ক।
শুক্রবার সকালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের এক বৈঠকে তামিমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে। পরে যুক্ত হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। ছুটির দিনে মাঠে খেলা না থাকলেও ক্রিকেটারদের আগমনে তৎপর হয়ে ওঠে সংবাদকর্মীরাও। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বেশ ক্ষোভ ঝাড়েন তামিম ইকবাল।
প্রায় মাসখানেক আগে প্রিমিয়ার লিগের এক ম্যাচ চলাকালে হৃদয়ের সঙ্গে মাঠে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিসিবি। পরে তা কমিয়ে এক ম্যাচ করা হয়। আর সবশেষ আবারো নিষেধাজ্ঞা আসে হৃদয়ের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘ওর (হৃদয়ের) সাথে মাঠে একটা ঘটনা হয়। তখন ওকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়। কেউ কিছু বলেনি। পরে এক ম্যাচ করে দিলো, তাও কেউ কিছু বলেনি। কালকে আবার শাস্তি! এটা কোন নিয়মে হয়? এটা হাস্যকর। এর কোনো ব্যাখ্যা নেই।’
এদিন শুধু হৃদয় নয়, সম্প্রতি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের নিয়ে বোর্ডের আচরণ এবং তাদের দিয়ে মিডিয়ার সামনে ঘটনাটি অভিনয় করিয়ে দেখানোর বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘শাইনপুকুর-গুলশান ম্যাচে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, ঠিক আছে, তদন্ত হোক। যারা দোষী, শাস্তি পাক। কিন্তু দুইজনকে মিডিয়ার সামনে এনে অভিনয় করিয়ে দেখানো, এটা ক্রিকেটারদের অপমান। বিশ্বের কোনো অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট এমন করে না।’
বিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে ক্রিকেটারদের নাম ও ছবি ফাঁস করে দেওয়াতেও ক্ষুব্ধ তামিম ও অন্যরা। বলেন, ‘বিপিএলে ১০ জনের নাম মিডিয়াতে এসেছে, ছবি এসেছে। যদি ২ জন দোষী হয়, বাকিরা নির্দোষ হলে? এটা অন্যায়। এটা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’
তামিমের মতে, দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার ক্রিকেটাররাই। তাদের সঙ্গে এমন আচরণ কাম্য নয় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বোর্ড সভাপতিকে অনুরোধ করেছি, তিনি এসেছেন। দুইজন পরিচালকও ছিলেন। আমরা বলেছি, দ্রুত সিদ্ধান্ত দিন এবং আমাদের জানান, যাতে আমরা মন থেকে খেলায় মনোযোগ দিতে পারি।’