স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদদের সক্ষমতা ও আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নিয়েছে কাতার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় ‘আর্থনা সম্মেলন’-এর ফাঁকে কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি বিশ্বখ্যাত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের চার নারী ক্রীড়াবিদ—দুজন ক্রিকেটার ও দুজন ফুটবলার। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, বলেন কীভাবে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা আজকের অবস্থানে এসেছেন।
নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমিটরি, জিম ও মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অভাবের বিষয়টিও তুলে ধরা হয় আলোচনায়। আবেগাপ্লুত শেখা হিন্দ তাদের সাহস ও সংকল্পের প্রশংসা করে জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন গঠনে কাতার ফাউন্ডেশন সহায়তা করবে।
এই ফাউন্ডেশন খেলাধুলা বিষয়ক অবকাঠামো নির্মাণ, সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, শিগগিরই এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছে ডরমিটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলনকক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের আবাসনের ব্যবস্থার জন্য পূর্ণ সহযোগিতা চান।
এই ফাউন্ডেশন শুধু বাংলাদেশ নয়, সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নারী ক্রীড়াবিদদের স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্সের সুযোগ করে দেবে বলে জানান ইউনূস।
অবসরপ্রাপ্ত নারী ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাবও দেন তিনি, যেটিকে শেখা হিন্দ আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখা মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে শেখা মোজা বাংলাদেশ সফরের আগ্রহও প্রকাশ করেন।