স্পোর্টস ডেস্ক ; জসপ্রিত বুমরাহ, টেন্ট্র বোল্টের সঙ্গে উইল জ্যাকসের আঁটসাঁট বোলিংয়ে মাত্র ১৬২ রানেই আটকে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। উইকেট খানিকটা ধীরগতির হওয়ায় দেড়শ পার করা লক্ষ্য তাড়া করাটা সহজ হওয়ার কথা ছিল না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। তবে রোহিত শর্মা, রায়ান রিকেলটন, জ্যাকস ও সূর্যকুমার যাদবর দ্রুত ব্যাটিংয়ে কাজটা সহজ করে দিয়েছেন। বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ৩৬ রান করেছেন জ্যাকস। ইংলিশ ক্রিকেটারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ঘরের মাঠে হায়দরাবাদকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে মুম্বাই। সাত ম্যাচে স্বাগতিকদের এটি তৃতীয় জয়। সূত্র, ক্রিকফ্রেঞ্জি
ওয়াংখেড়েতে জয়ের জন্য ১৬২ রান তাড়ায় খানিকটা ধীরগতির ছিলেন রোহিত শর্মা ও রায়ান রিকেলটন। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেন রোহিত।
ফলে দ্রুত রান তুলতে থাকে মুম্বাই। যদিও লম্বা সময় ধরে অফ ফর্মে থাকা ডানহাতি ওপেনার বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ভালো শুরু পেয়েও ফিরতে হয়েছে ১৬ বলে ২৬ রানে। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ট্রাভিস হেডকে ক্যাচ দিয়েছেন।
আরেক ওপেনার রিকেলটন ছিলেন একেবারে সাবলীল। জ্যাকসকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাইয়ের রান বাড়াতে থাকেন তিনি। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন হার্শাল প্যাটেল। ডানহাতি পেসারের অফ কাটারে ইনসাইড আউট হয়ে খেলার চেষ্টায় হেডকে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। সাউথ আফ্রিকান ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ রান। চারে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন সূর্যকুমার যাদব।
হায়দরাবাদের বোলারদের বিপক্ষে নিজের সহজাত ব্যাটিংই করেছেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটারের ক্যামিও ইনিংস থামিয়েছেন কামিন্স। হায়দরাবাদ অধিনায়কের গুড লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সূর্যকুমার। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অফে জিসান আনসারীকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বলে ২৬ রান করা এই ব্যাটার। একটু পর আউট হয়েছেন জ্যাকসও।
কামিন্সের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে মিড অফের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে না পেরে জিসানকে ক্যাচ দিয়েছেন। ইংলিশ ব্যাটার আউট হয়েছেন ৩৬ রানে। তিলক ভার্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বাইয়ের জয় নিশ্চিত করতে খুব বেশি সময় নিতে চাননি। যদিও যখন এক রান প্রয়োজন তখন ২১ রান করে ফিরে গেছেন হার্দিক। এসান মালিঙ্গার একই ওভারে আউট হয়েছেন নামান ধীর। তবে ১১ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় পায় মুম্বাই।