আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম পুঁজি নিয়েও জয়ের নতুন রেকর্ড গড়লো পাঞ্জাব কিংস। মাত্র ১১২ রানের লক্ষ্য পেয়েও জিততে পারলো না কলকাতা নাইট রাইডার্স।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে পাঞ্জাবের দেয়া ১১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৯৫ রানে থেমেছে কলকাতা। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দলকে জেতানোর নায়ক যুজবেন্দ্র চাহাল ও মার্কো ইয়ানসেন। ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন চাহাল। ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন ইয়ানসেন।
নির্ধারিত ২০ ওভারের ম্যাচে এর আগে সর্বনিম্ন পুঁজিতে জয়ের রেকর্ডটি ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। ২০০৯ সালে মাত্র ১১৬ রান নিয়েও পাঞ্জাবকে ২৪ রানে হারিয়েছিল চেন্নাই। লজ্জার সে রেকর্ড ভেঙে এবার নিজেরাই নতুন রেকর্ডে নাম লেখালো পাঞ্জাব।
ঘরের মাঠে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল পাঞ্জাবের। তবে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩.১ ওভারে দলকে ৩৯ রান এনে দিয়েছিলেন প্রিয়াষ্ণ আর্য ও প্রবসিমরান সিং। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হার্শিত রানার দ্বিতীয় বল ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আর্য। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রানে থামে তার ইনিংস। এক বল পর শূন্য রানে বিদায় নেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। পরের ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হন ৬ বলে ২ রান করা জশ ইংলিশ। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে আবার লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন প্রবসিমরান। তবে শেষ বলে তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে ক্রিজে আধিপত্য করতে দেননি হার্শিত। ১৫ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩০ রান করেন প্রবসিমরান।
এরপর কলকাতার বোলারদের তোপে আর কেউ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। শশাঙ্ক সিং ১৭ বলে ১৮ আর জাভিয়ের বার্টলেট ১৫ বলে ১১ রান করে কোনোরকম দলের সংগ্রহ শতরান পার করেন। ১৫.৩ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১১১ রানে থামে পাঞ্জাব। কলকাতার পক্ষে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন হার্শিত। ২টি করে উইকেট নেন বরুণ ও সুনীল নারিন।
তবে রান বন্যার আইপিএলে কেউ কি ভাবতে পেরেছিল এত স্বল্প পুঁজি নিয়েও কোনো দল জয় পাবে? কিন্তু সে অসম্ভব-ই সম্ভব করে দেখালো পাঞ্জাব। ইয়ানসেন-চাহালদের তোপে আইপিএলের ইতিহাসে লজ্জাজনক হারে নাম লেখালো কলকাতা। ৭ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর যদিও তৃতীয় উইকেটে আজিঙ্কা রাহানে ও অঙকৃশ রঘুবংশীর জুটিতে মনে হচ্ছিল কলকাতা সহজেই জয় পাবে। কিন্তু দলীয় ৬৩ রানে রাহানে আর ৭২ রানে রঘুবংশী আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কলকাতার ব্যাটিং লাইন আপ। ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রঘুবংশী। ১৭ বলে ১৭ রান করেন রাহানে।
২০ ওভারের ম্যাচের বাইরে সর্বনিম্ন ১০৬ রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড আছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংসের। ২০১৩ সালে ৮ ওভারের ম্যাচে ১০৬ রানের পুঁজি নিয়ে চেন্নাইকে ২৪ রানে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু। আর ২০১৫ সালে ১০ ওভারের ম্যাচে ১০৬ রানের পুঁজি নিয়ে বেঙ্গালুরুকে ২২ রানে হারিয়েছিল পাঞ্জাব।