স্পোর্টস ডেস্ক ; এই দুই দলের ম্যাচের জৌলুশ সেই আগের মতো আর নেই, এমনকি সমর্থকদের মাঝেও আর দেখা যায় না বাড়তি উত্তেজনা। তবে মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেল তুমুল লড়াই। যেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
মিরপুর শের-ই বাংলায় আগে ব্যাট করতে নেমে আনিসুল ইসলামের সেঞ্চুরির পরও ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবাহনী থেমেছে ২২৫ রানেই। মোহামেডানের কাছে তাদের হারের ব্যবধান ৩৯ রান। চলতি ডিপিএলে এটি তাদের দ্বিতীয় হার। -- ডেইলি ক্রিকেট
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি রিপন মন্ডল-মোসাদ্দেক হোসেনরা। মোহামেডানের হয়ে ইনিংসের উদ্বোধন করতে নামা রনি তালুকদার ১৮ বলে ১৬ রান করে ফিরলেও ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন অঙ্কন। ৫৫ বলে ৪৮ রানে ফিরেছেন উইকেট কিপার এ ব্যাটার। আনিসুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৮ বলে ১৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১১৪ রানের ইনিংস।
তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে ৪৮.২ ওভারে ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় মোহামেডান। আবাহনীর হয়ে ৯.২ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন নাহিদ রানা। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রাকিবুল হাসান ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জিসান আলমের উইকেট হারায় আবাহনী। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিলেও ফিরেছেন ১২ বলে ১৬ রান করে।
তবে আবাহনীকে ম্যাচে রেখেছিলেন শান্ত। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি আবাহনীর কোনো ব্যাটার। মোহাম্মদ মিঠুন ও মুমিনুল হক চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শান্ত যখন ১১৩ বলে ৮০ রান করে আউট হন, তখন শেষ হয় আবাহনীর জয়ের আশা। মোসাদ্দেক ও মৃত্যুঞ্জয়ের সমান ২৪ রানের করে ইনিংস শুধুমাত্র আবাহনীর হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে।
মোহামেডানের হয়ে ৯.২ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন ইবাদত হোসেন চৌধুরী। দুটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।