স্পোর্টস ডেস্ক ; মাঠে নামার আগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পরিসংখ্যানটা ছিলো এ রকম, গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জিতলে বেঁচে থাকবে সুপার সিক্সের আশা, আর হারলেই বাদ। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন সফল করতে পারলো না প্রাইম ব্যাংক, নবাগত গুলশানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে গেছে তারা। আর তাতেই নিশ্চিত হয় প্রাইম ব্যাংকের বিদায়। ১১ ম্যাচ শেষে ৫ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১০।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজিজুল হাকিম তামিমের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট ও ১২.৩ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় গুলশান। -- ডেইলি ক্রিকেট
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাইম ব্যাংক। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন শুরুটা করেছিলেন ভালো। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৮ বলে ২২ রান করে ফিরেছেন সাব্বির। নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংস।
দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দীপু। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও জাকির হাসান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৪ বলে ৭ রান করে ফিরেছেন শামীম, জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ বলে ২২ রান।
প্রাইম ব্যাংক মূলত লড়াকু সংগ্রহ পায় ইরফান শুক্কুর ও সাজ্জাদুল হক রিপনের কল্যাণে। অধিনায়ক শুক্কুর ৭৪ বলে ৪৩ রান করে ফিরলেও সাজ্জাদ ৭৩ বলে ৫১ রান করে ছিলেন অপরাজিত।
গুলশানের হয়ে ৭.৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আসাদুজ্জামান পায়েল, নাঈম ইসলাম ও নিহাদুজ্জামান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হক তামিম। দুজনের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১ রান। ৪৮ বলে ৩৩ রান করে জাওয়াদ ফিরলে ভাঙে সেই জুটি
আলিফ হাসান ও নাঈম ইসলাম দ্রুত ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে ধরে খেলেছেন তামিম। তুলে নিয়েছেন চলতি ডিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ১০৬ বলে ১০৫ রান করে তামিম যখন ফেরেন, তখন গুলশানের জয় এক প্রকার নিশ্চিত।
তামিম ফেরার পর বাকি কাজটুকু সেরেছেন খালিদ হাসান। ৩৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন খালিদ।