স্পোর্টস ডেস্ক ; দুপুর গড়িয়ে সময় তখন প্রায় তিনটা। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তখন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাটিং করছেন আবাহনীর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। সবকিছু ঠিক থাকলে মর্যাদার লড়াইয়ে মোহামেডানকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তামিম ইকবালের। তবে অসুস্থতার কারণে পুরো ডিপিএল থেকেই ছিটকে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। -- ক্রিকফ্রেঞ্জি
যদিও আবাহনী ও মোহামেডানের ম্যাচের সময় আচমকা মিরপুরে হাজির রয়েছেন তিনি। হৃদরোগের চিকিৎসা নিতে ৮ এপ্রিল সিঙ্গাপুুরে গিয়েছিলেন তামিম। চিকিৎসা শেষে দেশেও ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দেশে ফেরার পরই মিরপুরে পা রেখেছেন তিনি। যতটুকু জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা শেষে বিসিবির ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতেই মিরপুরে এসেছেন তামিম।
চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়া তামিম ডিপিএল খেলার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত ২৪ মার্চ বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে স্বাভাবিক দিনের মতোই মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে টস করে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তামিম। তবে ফিল্ডিং করার এক পর্যায়ে বুকে ব্যথা অনুভব করায় মাঠ থেকে বেরিয়ে ড্রেসিং রুমে চলে যান বাঁহাতি ওপেনার।
পরবর্তীতে বিকেএসপির অদূরে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে গিয়ে ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান মোহামেডানের অধিনায়ক। কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও ঢাকায় ফেরার উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার কল করে বিকেএসপি ফিরে যান তামিম। তবে ঢাকায় ফেরার জন্য হেলিকপ্টারে উঠতে যাওয়ার আগে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।
ফলে দ্রুততার সঙ্গে আবারও সেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলা তামিমকে ‘সিপিআর’ দেয়ার পাশাপশি ‘ডিসি শক’ দেয়া হয়। এনজিওগ্রাম করানোর পর ‘লেফট এন্টেরিয়র ডিসেন্ডিং আর্টারি’তে শতভাগ ব্লক ধরা পড়লে রিং পরানো হয়। রিং পরানোর ঘণ্টা দুয়েক পর তামিমের জ্ঞান ফেরে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়া একদিন পর ঢাকাতে নিয়ে আসা হয় তামিমকে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। ক্রমশই অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বাসায় ফেরেন মোহামেডানের অধিনায়ক। তবে উন্নত চিকিৎসা ও ঝুঁকি এড়াতে ৮ এপ্রিল সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন তামিম।