স্পোর্টস ডেস্ক ; অনেকেরই পাকিস্তানের সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে শাদাব খানের অন্তর্ভুক্তি পছন্দ হয়নি। তার দলে ফেরায় শ্বশুর সাকলাইন মুশতাকের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ উঠছে। এসব আলোচনায় ভীষণ বিরক্ত দেশটির লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শাদাব।
স্পিন গ্রেট সাকলাইন গত বছর পাকিস্তান দলের মেন্টর ছিলেন। জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করার অভিজ্ঞতা আছে তার। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতেও কাজ করেছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন বলা যায় তাকে।
দুই বছর আগে সাকলাইনের মেয়েকে বিয়ে করা শাদাব ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ছিলেন দলের বাইরে। হুট করে গত মাসে নিউ জিল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক করে তাকে ফেরায় পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে কেবল একটি উইকেট নিতে পারেন তিনি। ব্যাট হাতে চার ইনিংসে করেন ৫৮ রান।
শাদাবের দলে ফেরা ভালোভাবে নেননি দেশটির সাবেকদের কেউ কেউ। তাকে নিয়ে চলে প্রবল সমালোচনা। সাকলাইনের জন্য সুবিধা পাওয়ার কথাও বলা হয়।
রাওয়ালপিণ্ডিতে সম্প্রতি এসব নিয়ে কথা বলার সময় শাদাবের কণ্ঠে ঝড়ে হতাশা ও বিরক্তি।
এই ধরনের কথা শোনা হতাশাজনক, কারণ আমার ক্যারিয়ার প্রায় সাত বছরের। পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকের পর থেকে আমি বেশ কিছু ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছি। হ্যাঁ, আমি সাকলাইন মুশতাকের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি, কারণ তার শক্তিশালী ক্রিকেট কোচিং ব্যাকগ্রাউন্ড। কিন্তু তার মানে, এই নয় যে তিনি আমাকে (অন্য ক্ষেত্রে) সুবিধা দিচ্ছেন।
সাকলাইন মুশতাকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বারবার সামনে আনা হলে কষ্ট লাগে। নিজের বোলিংয়ে উন্নতি জন্য সাকলাইনের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা শাদাব।
আমার শ্বশুরের সঙ্গে কাজ করে বোলিংয়ের উন্নতি করার চেষ্টা করছি, কারণ আমি নিজেকে ব্যাটসম্যানের চেয়ে বোলার হিসেবে দলের জন্য বেশি উপকারী মনে করি।
আমার বোলিংয়ে উন্নতির জন্য সাকলাইন মুশতাক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। আমি আশাবাদী, তার নির্দেশনায় ভালো ফল আসবে এবং আমার পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা আসবে। তথ্যসূত্র, বিডিনিউজ