শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৪৬ রাত
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

অগ্রণীব‌্যাং‌কে হা‌রি‌য়ে আবাহনীর আরো কাছে ‌পৌঁছা‌লো মোহামেডান

স্পোর্টস ডেস্ক: মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাফ সেঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ইনিংসে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭৪ রানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রণীর হয়ে অমিত হাসান সেঞ্চুরি করলেও শেষপর্যন্ত ইবাদত হোসেন-মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে জিততে পারেনি দলটি। এই জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল মোহামেডান। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে আবাহনী। - ক্রিক‌ফ্রেঞ্জি

তিন বলে দুই রান করে তাইবুর রহমানের দারুণ থ্রো'তে রানআউট হন এই ওপেনার। তারপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং রনি তালুকদার। রনিকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি তাইবুর। তাকে কট এন্ড বোল্ডে মাঠ ছাড়িয়েছেন। ফেরার আগে রনি করেন ৪৯ বলে ৪৬ রান।

এরপর ৭৩ রানের জুটি গড়েন অঙ্কন এবং তাওহীদ হৃদয়। এই জুটিতে হাফ সেঞ্চুরি পান অঙ্কন। যদিও ৮৩ বলে ৬৪ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে আরিফ আহমেদের বলে বিদায় নেন তিনি। অবশ্য ধীরগতির এই ইনিংসেও দুটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

দলীয় ১৭১ রানের মধ্যে হৃদয়ও ফিরে যান। হাফ সেঞ্চুরির অপূর্ণতা নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি করেন ৬১ বলে ৪২ রান। জাহিদ জাভেদ লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তাকে। তারপর ৪১ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিক হাফ সেঞ্চুরি পেলেও মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে ১৬ রানে আরিফের বলে বোল্ড হন।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ বলে ১৮ এবং সাইফউদ্দিন ৯ বলে ১২ রান করে ফিরে যান। মুশফিক একাই দলের রান বাড়ানোর প্রচেষ্টায় থাকেন। ৫৭ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৫ রানের অপরাজিত থাকেন তিনি। মোহামেডান থামে সাত উইকেটে ২৮৭ রান করে। অগ্রণীর হয়ে আরিফ আহমেদ ৪৭ রান খরচায় তিন উইকেট নেন।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় অগ্রণী ব্যাংক। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ইমরানউজ্জামানকে ফেরান ইবাদত হোসেন। তৃতীয় ওভারে সাদমান ইসলামকেও দারুণ এক বলে বোল্ড করেন ইবাদত। এ দিন পাঁচ রান আসে সাদমানের ব্যাটে।

চতুর্থ ওভারে নাসুম আহমেদ বিদায় করেন প্রীতম কুমারকে। সাত বল খেলে দুই রানে বোল্ড হন তিনি। তারপর ৬৪ রানের জুটি গড়েন অমিত এবং মার্শাল আইয়ুব। ৫৩ বলে ৩৭ রান করা মার্শালকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম।

দলের রান একশ পার হতে বিদায় নেন তাইবুরও। মিরাজের গুড লেংথের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তাইবুর। তার ব্যাটে আসে ১৪ রান। দলীয় ১৩১ রানের মধ্যে শুভাগত হোম এবং জাহিদ জাভেদের উইকেট হারায় দলটি। শুভাগত দুই রানে নাসুমের বলে এবং জাভেদ আট রানে মিরাজের বলে বোল্ড হন।

তারপর শহিদুল ইসলামের সঙ্গে আরও ৪৯ রানের জুটি গড়েন অমিত। দলীয় ১৮০ রানে শহিদুলকে বিদায় করেন নাসুম। তারপর সেঞ্চুরি তুলে নেন অমিত। ইবাদতের বলে ফেরার আগে ১২৩ বলে ১০৫ রান করেন তিনি। ২১৩ রানে থামে অগ্রণী। মোহামেডানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ইবাদত এবং মিরাজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়