স্পোর্টস ডেস্ক ; বার্সেলোনা বর্তমানে অসাধারণ ফর্মে রয়েছে। দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাতালান ক্লাবটি এই মৌসুমে চারটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দেখছে। ২০২৫ সালে এখনো পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি তারা, সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২২ ম্যাচে অপরাজিত থেকেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। এর মধ্যে ১৮টি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে তারা সবশেষ বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে সেই সংখ্যা উনিশে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর কাতালান ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে এই দুই দল এর আগেও মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। বুধবার রাতেও ঘরের মাঠে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে ফ্লিকের শিষ্যরা। ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে বার্সেলোনার পরিসংখ্যানও বেশ উজ্জ্বল।
জার্মান এই ক্লাবটির বিরুদ্ধে এর আগে খেলা পাঁচটি ম্যাচে একবারও হারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। শুধু তাই নয়, ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে কোচ হিসেবে হ্যান্সি ফ্লিকের আছে শতভাগ জয়ের রেকর্ড। লিগ পর্বে বার্সার একটি ম্যাচসহ (বাকি পাঁচটি বায়ার্নের হয়ে) ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ছয়টি ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় পেয়েছেন ফ্লিক।
স্পেনে খেলতে এলেই যেন কিছুটা ম্লান হয়ে পড়ে ডর্টমুন্ডের পারফরম্যান্স। স্পেনের মাটিতে ২০টি ম্যাচ খেলে তারা জিতেছে মাত্র তিনটিতে। অতীত পরিসংখ্যান কিছুটা বিবর্ণ হলেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বার্সেলোনা। কারণ বুন্দেসলিগায় আট নম্বরে থাকলেও ইউরোপীয় মঞ্চে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে তারা।
নকআউট পর্বে শেষ আট ম্যাচে তাদের একমাত্র পরাজয় ছিল গত আসরের ফাইনালে। গত বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলাটা হয়ত নিকো কোভাচের শিষ্যদের বাড়তি প্রেরণা যোগাবে।
অন্যদিকে বার্সেলোনা সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল ২০১৫ সালে এবং স্বপ্ন আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।