স্পোর্টস ডেস্ক ; সাদা ও লাল বলের দলের জন্য আলাদা আলাদা হেড কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথা চিন্তা করছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। এর মধ্যে দেশটির সাদা বলের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গ্যারি স্টেড। তবে তিনি চাইলে আবারও টেস্ট দলের দায়িত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২০১৮ সাল থেকে নিউ জিল্যান্ড দলের তিন ফরম্যাটেরই কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন স্টেড। ৫৩ বছর বয়সী এই কোচের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। - অলআউট স্পোর্টস
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এনজেডসি জানায়, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং সদ্যসমাপ্ত ২০২৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এই কোচ সাদা বলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। ভবিষ্যৎ ঠিক করার জন্য স্টেডকে সময়ও দেওয়া হবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করা রব ওয়াল্টারের সঙ্গে নিউ জিল্যান্ড দলে যোগ দিতে পারেন – এমন গুঞ্জনের পরই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন স্টেড।
ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর স্টেড বলেন, ভ্রমণভিত্তিক জীবনের বাইরে কিছু সময় কাটানোর অপেক্ষায় আছি এবং সেই সময়টাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সুযোগ পাবো। কম অভিজ্ঞ একটি দল নিয়ে মৌসুম শেষ করার দিকেই আমার মূল মনোযোগ ছিল।
গত ছয়-সাত মাস ছিল দারুণ ব্যস্ত, সেপ্টেম্বর থেকে টানা ক্রিকেট চলেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এখনই সময় নিজের বিকল্পগুলো মূল্যায়ন করার। আমি এখনও মনে করি কোচিং করার মতো শক্তি আমার মধ্যে আছে, যদিও এখন সব ফরম্যাটের হেড কোচ হতে আগ্রহী নই।
আগামী সপ্তাহ থেকেই নতুন হেড কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করবে এনজেডসি। বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স বিভাগের প্রধান ব্রায়ান স্ট্রোনাক বলেন, “আমরা এখনও নির্দিষ্টভাবে ঠিক করিনি যে আলাদা কোচ নেবো নাকি সব ফরম্যাটের জন্য একজনই থাকবে। যারা আবেদন করবেন, তাদের দেখে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
স্টেডের কোচিংয়ে ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল নিউ জিল্যান্ড। এছাড়া গত বছর ভারত সফরে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জেতে তারা। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল কিউইরা। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে তিন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও কোনো শিরোপা জিততে পারেনি দেশটি।