স্পোর্টস ডেস্ক ; দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের পর নাসির হোসেনকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেই সঙ্গে ৬ মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা পান তিনি। ক্রিকেটে ফেরার সমস্ত শর্ত সফলভাবে শেষ করায় এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো আইসিসি। ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনো বাধা নেই ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের। এক বিবৃতিতে এমনটা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এরই মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সে নাম লিখিয়েছেন নাসির। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আজকের ম্যাচের একাদশেও আছেন এই অলরাউন্ডার। ম্যাচে ইতোমধ্যেই ১০ ওভার বোলিং করে ৩১ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে সংযুক্ত আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গের তিনটি অভিযোগ নাসির মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছিল আইসিসি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গণনা করা হয় তার নিষেধাজ্ঞা। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টেন লিগে অংশ নিয়েছিলেন নাসির।
সেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে নাসির উপহার নিয়েছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে জানানো হয়েছিল ২.৪.৩ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেয়ার বিষয়ে তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির।
এ ছাড়া ২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোন প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা নিয়েও পরিস্কার ধারণা দিতে তখন ব্যর্থ হন এই অলরাউন্ডার।
২.৪.৬ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে তিনি দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা কোন যুক্তি ছাড়াই তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
দুর্নীতির অভিযোগে নাসিরের সঙ্গে অভিযুক্ত করা হয়েছিল আরও দুজনকে। তারা হলেন আরব আমিরাতের ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ ও সালিয়া সামান। বাকিদের মধ্যে আছেন কৃষ্ণা কুমার চৌধুরী। যিনি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানার অংশীদার। এর বাইরে পরাগ সংঘভিও একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার অংশীদার। আশহারর জায়েদি ছিলেন ব্যাটিং কোচ।
সানি ধিলন সহকারী কোচ ও শাদাব আহমেদ টিম ম্যানেজার। নাসির সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১১ সালে অভিষেক হওয়া এই অলরাউন্ডার।