শিরোনাম
◈ যমুনা সেতুতে ৭ দিনে ১৭ কোটি টাকার টোল আদায় ◈ ‘ক্যাশে এত কম টাকা রাখলেন কেন’, চুরির পর মালিককে চোরের কল ◈ থানায় জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল ◈ মোনাজাতে ‌‘খালেদা জিয়ার নাম না বলায়’ ইমামকে যুবদল নেতার হুমকি ◈ মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায় ◈ ড. ইউনূসের সঙ্গে শেহবাজ শরিফের ফোনালাপ, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ◈ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড, প্রথমবারের মতো ছাড়াল ৩১০০ ডলার ◈ ঈদের ছুটি: অনেক এটিএম বুথেই টাকা নেই, ভোগান্তিতে গ্রাহক ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান ◈ আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৮ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাসায় ফিরলেন তামিম ইকবাল, ফেসবুকে যা লিখলেন

দেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার তামিম ইকবাল তার জীবনের কঠিনতম ৪টি দিন কাটিয়ে অবশেষে বাসায় ফিরেছেন। ঘরে ফিরেই তিনি ফেসবুকে করেছেন একটি পোস্ট। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ম্যাচ চলাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তামিম। এরপর তাকে সেখানে সিপিআর দেওয়া হয়। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তার হার্টে রিং পরানো হয়। এরপর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি ছিলেন দুই দিন। তা শেষে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

বাসায় ফিরে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো— 

‘আপনাদের সবার দোয়ায় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে এখন আমি বাসায়।

উথালপাথাল এই চারটি দিনে নতুন জীবন যেমন পেয়েছি, তেমনি আমার চারপাশকে আবিষ্কার করেছি নতুন করে। সেই উপলব্ধির সবটুকুতে মিশে আছে কেবল ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সবার ভালোবাসার ছোঁয়া ক্যারিয়ারজুড়ে নানা সময়ই পেয়েছি। তবে এবার তা অনভুব করতে পেরেছি আরও তীব্রভাবে। আমি সত্যিই আপ্লুত।

বিকেএসপিতে আমার অসুস্থতার শুরু থেকেই অনেককে পাশে পেয়েছি তাৎক্ষণিকভাবে। ম্যাচ রেফারি দেবু দা (দেবব্রত পাল), বিকেএসপির চিকিৎসকরা এবং আরও যারা তখন ছিলেন সেখানে, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার যে ভাই আমাকে দ্রুতগতিতে নিয়ে গেছেন হাসপাতালে, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। 

আমাদের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব কীভাবে, আমার আসলে জানা নেই। আমি পরে জেনেছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন যে, ডালিম ভাই ওই সময় সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে হয়তো আমাকে বাঁচানো যেত না। উপযুক্ত মানুষকে উপযুক্ত সময়ে আমার পাশে রেখে আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়েছেন। 

মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফ ওয়াসিমের কথা না বললেও নয়। শুরু থেকে এখনও সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়েই আছে আমার।

কেপিজে হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তার দক্ষ চিকিৎসক দল তাদের পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতার মিশেলে যেভাবে দ্রুততায় চিকিৎসা করেছেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মান ও কার্যকারিতাই ফুটে উঠেছে তাতে। আমি পরে শুনেছি যে, দেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডা. মারুফ ও তার দল মিরাকল ঘটিয়েছেন। 

গোটা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা থেকে শুরু করে যারা যে কোনোভাবে যতটুকু সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে হৃদয়ে লালন করব আজীবন। এই হাসপাতালে যতটুকু সময় ছিলাম, তাদের হৃদ্যতার পরশ অনুভব করে যাব সবসময়। 

ঢাকা শহরের বাইরে ওই এলাকায় এতটা উঁচু মানের হাসপাতাল আছে, এতটা কুশলী চিকিৎসক দল ও স্টাফরা আছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এগিয়ে চলার একটি প্রমাণ এটি। দেশজুড়ে নানা জায়গায় এর কাছাকাছি মানের হাসপাতাল যদি আরও কিছু থাকে, আমার মতো আরও অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে।

ধন্যবাদের তালিকা আসলে শেষ হওয়ার নয়। আরও অনেকেই নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, অনেকের কথা জানি, অনেকের কথা হয়তো জানি না। এতটুকু জানি, ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় তারা কিছু করেননি। আমি তাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ সারা জীবনের জন্য।  

পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ এখনও দীর্ঘ। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক। 

ভালোবাসা সবার জন্য।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়