সমালোচনার শুরু লিফলেট প্রকাশের পর থেকেই। ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় কালীমাতা সংঘ নামে একটি ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার নিয়মাবলীতে ক্লাবটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে, ‘কোনো মুসলিম খেলোয়াড় খেলায় অংশ নিতে পারবে না।’ সেটি নিয়েই আলোচনা, বিস্তর সমালোচনাও।
ভারতের সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি আছড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রেশ পড়েছে খেলার মাঠেও। পাঁশকুড়ার ওই ক্লাবটির নির্দেশনার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে। অনেকেই দুষছেন বিজেপিকে। কেউ কেউ দায় দেখছে তৃণমূলের। রাজনৈতিক দুটি দলই বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
আগামী ২৯ মার্চ থেকে আয়োজন করা হবে পাশকুঁড়ার ওই ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলটি দল খেলতে পারবে। তার আগে লিফলেট ছাপিয়ে বিভিন্ন ক্লাবকে যোগদানের আবেদন জানিয়েছে কালীমাতা সংঘ। টুর্নামেন্টের নিয়মাবলীর ১০ নম্বরে ছিল চাঞ্চল্যকর সেই নির্দেশ।
ক্লাব ভুল স্বীকার করেছে। ক্ষমাও চেয়েছে। তবে সমালোচনা থামছে না। ক্রীড়াপ্রেমীদের প্রশ্ন, খেলার মধ্যে হিন্দু—মুসলিম আসবে কেন? এই ঘটনায় তৃণমূল দায় দিচ্ছে বিজেপিকে। তাদের দাবি, বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির কারণেই এই ঘটনা। বিজেপি মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে চায়। এটা সেই চেষ্টারই অংশ।
পাল্টা শুনিয়েছে বিজেপি, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। ক্লাব একটি স্বাধীন সংস্থা। তারা কী লিখল তার দায় বিজেপি নেবে কেন? নিশ্চয়ই ওখানে এর আগে খেলার সময় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তাই ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
তবে দুপক্ষের এই রেষারেষিতে আপাতত টুর্নামেন্টটির প্রচার বন্ধ। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মিডিয়া বিষয়টি সমালোচনা করে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের সূত্রপাত হিসেবে প্রচার করছে।