ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের মিক্সড জোনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। উদ্দেশ্য হামজা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলা। সুনীল ছেত্রী, লিস্টন কোলাসোরা মন খারাপ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মিনিট দশেক পর এক এক করে বের হয়ে এলেন শেখ মোরসালিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজীরা। যার জন্য অপেক্ষা সেই হামজা এলেন একদম শেষে।
তাকে পেয়েই গণমাধ্যমকর্মীররা একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়লেন।
হামজাও হাসি-মুখে প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকলেন। চার-পাঁচটি সহজ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু তা কাজে লাগিয়ে গোল পাওয়া হয়নি।
হামজার এ নিয়ে আক্ষেপ আছে কিনা? ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের সহজ সরল উত্তর, ‘আমরা আজ জিততে পারতাম। কিন্তু ফুটবলে এরকম মিস হয়েই থাকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও হয় এরকম। আমাদের এটা বাজে দিন ছিল।’
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে শুরু করেছিল তাতে জয় পেতে পারত কয়েক গোলের ব্যবধানে। কিন্তু মজিবুর রহমান জনি, মোহাম্মদ হৃদয়, শাহরিয়ার ইমনরা সুযোগ নষ্টের মিছিলে নামেন এদিন। হামজার তাই জয় না পাওয়ার আক্ষেপ করে গেলেন।
তবে ব্যক্তিগতভাবে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন হামজা। লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই হৃদয় জয় করে নিয়েছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ফুটবলার।
ম্যাচ না জিতলেও হামজা যেন ‘জিতে’ গেছেন এদিন। নিখুঁত পাসিং, কড়া ট্যাকেল করে ভারতীয় ফরোয়ার্ডদের আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। প্রতিটা ট্যাকেলের পর সতীর্থদের উজ্জীবিত করেছেন। হামজা বলেছেন, ‘খেলায় আমাদের খুব ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। আমি আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’ প্রথমবার লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপাতে পেরে গর্বিত হামজা, ‘আমি খুবই গর্বিত। গত পাঁচদিন এই দলের সঙ্গে খুবই ভালো সময় কেটেছে।’